ঢাকা বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

শেখ হাসিনা-কাদেরের সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি রংপুরের ৩ জন


নিউজ ডেস্ক
১২:৩১ - মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
শেখ হাসিনা-কাদেরের সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি রংপুরের ৩ জন

রাজধানী ঢাকা উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. আলী হোসেন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৮৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলার ৩ জনের নাম রয়েছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিহতের আত্মীয় মো. মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নম্বর-৪৪/২০২৪।

মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্চাসেবক লীগের আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসমি করা হয়েছে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান মণ্ডল (আসামি ৫৯), মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফুয়াদ মণ্ডল (আসামি ৬৫) ও মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফ মণ্ডল (আসামি ১১০)।

জানা যায়, শেখ হাসিনার ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে এসব নেতাকর্মীরা রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থান করেছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী উত্তরার পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুরে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। ওই দিন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরাও সেখানে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতা সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ছাত্র জনতার ওপর অর্তকিত গুলি চালাতে থাকে। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কাতারে থাকা আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তাহার পেট, বুক ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মহাসড়কের ওপরে পড়ে থাকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে কয়েকজন গিয়ে আলী হুসেনের হাত-পা ধরে তুলে নিয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করে।