বাংলাদেশের দুই সেরা আরচ্যার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর দিনটি দুই রকম গেল। দিয়া রিকার্ভ মহিলা এককের পাশাপাশি দলগত ইভেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। অন্য দিকে গত টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করা রোমান সানা রিকার্ভ পুরুষ এককে প্রি কোয়ার্টার বাদ পড়েছেন। রিকার্ভ পুরুষ দলগতেও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়ে ব্রোঞ্জ পদকের জন্য লড়তে হবে।
রিকার্ভ মহিলা একক ইভেন্টে অল বাংলাদেশ ফাইনাল হবে। দিয়া সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বী নাসরিন আক্তার। কোয়ার্টার ফাইনালে দিয়া সিদ্দিকী ভারতের রিধিকে ৬-৪ সেটে পরাজিত করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হন। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের দিয়া সিদ্দিকী ভারতের ‘পুনিয়া তিশা’ কে ৭-৩ সেটে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হন। দিয়া কোয়ার্টার ও সেমি সহজে জিতলেও নাসরিনের পথ মসৃণ ছিল না। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি উভয় পযৃায়ে নাসরিনকে টাইব্রেকিংয়ে যেতে হয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ‘নাসরিন আক্তার’ ভারতের ‘হেমব্রম লক্ষ্মী’ এর সাথে প্রথম পর্যায়ে ৫-৫ সেটে ড্রয় হয়। পরবর্তীতে ১টি করে তীর ছুড়ে নাসরিন আক্তারের স্কোর হয় ৯ এবং ‘হেমব্রম লক্ষ্মী’ এর স্কোর হয় ৮। এক তীরের ফলাফলের ভিত্তিতে নাসরিন আক্তার জয় লাভ করে সেমি-ফাইনালে উন্নীত হন। সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশের ‘নাসরিন আক্তার’ ম্যালয়েশিয়ার ‘ফজি নুর আইন আয়ুনি’ এর সাথে প্রথম পর্যায়ে ৫-৫ সেটে ড্র হয়। পরবর্তীতে ১টি করে তীর ছুড়ে ২জনেরই ৯-৯ স্কোর হয়। ‘নাসরিন আক্তার’ এর তীর ১০এর নিকটবর্তী হওয়ায় ৬-৫ সেটে ‘নাসরিন আক্তার’কে জয়ী ঘোষণা করায় ফাইনালে উন্নীত হন।
রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টে ইলিমিনেশন রাউন্ডে সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ (নাসরিন আক্তার, দিয়া সিদ্দিকী ও ফামিদা সুলতানা নিশা) ৫-১ সেটে কাজাখস্তানকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়। ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।
মহিলাদের সফলতার দিনে ব্যর্থ হয়েছেন রোমান-হাকিমরা। রিকার্ভ পুরুষ একক ইভেন্টে ইলিমিনেশন (নক-আউট) রাউন্ডে ১/৮ (প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলায় বাংলাদেশের মো: রোমান সানা ৩-৭ সেটে ইরানের শাবানী রেজার নিকট পরাজিত হন। আব্দুল হাকিম রুবেল প্রি কোয়ার্টারে জিতলেও সেমি-ফাইনালে রুবেল ০-৬ সেটে কাজাখস্তানের ‘ঝাংবাইরবে দৌলেটকেলদি’র নিকট পরাজিত হন।