দেশের ক্রিকেটে বড় নাম তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সরে গেলেও এখনো দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেট লিগ বিপিএলে মুশফিকুর রহিমের কদর কমেনি। উইকেটের পেছনে অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বের গুণাবলীর সঙ্গে আছে হার্ডহিটিং এর গুণাগুণ। এমন খেলোয়াড়কে কেনোই বা দলে নিতে চাইবে না ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো! এর সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা তো আছেই।
তবে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিপিএলের মঞ্চে মুশফিক এক দুর্ভাগা। দশ মৌসুমে নয়বার দলবদল করেও ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই শিরোপা জেতা হয়নি তার। এর মাঝে বেশ কয়েকবার অধিনায়কও হয়েছেন তিনি। তবে শিরোপাতে কখনোই হাত রাখা হয়নি তার। একইরকম অবস্থা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ছয়বার দল বদলেছেন তিনি।
পঞ্চপাণ্ডবের মাঝে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল শিরোপা পেলেও মুশফিকুর রহিম কখনোই বিপিএলের শিরোপা পাননি। আরেক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ৬ বার দল বদলে শিরোপার দেখা পাননি। দুই ভায়রার এমন শিরোপাখরা এবার ঘুচতে পারে বরিশালের জার্সিতে। কাগজে কলমে বেশ শক্তিশালী দলই করেছে ফরচুন বরিশাল।
২০১২ সালে বিপিএলের অভিষেক আসরে দুরন্ত রাজশাহীতে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে ছিলেন সিলেটে। সিলেট রয়্যালস এবং সিলেট সুপার সিক্সার্স নামে খেলেও নিজের ভাগ্য বদল করা হয়নি মুশফিকের। এরপর ২০১৬ সালের বরিশাল বুলসে এসেছেন। এসময় পর্যন্ত শিরোপা পেয়েছিল ঢাকা এবং কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজ।
২০১৭ সালে মুশফিক আবার ফিরে যান রাজশাহীতে। ২০১৯ সালে পা রাখেন চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ডেরায়। ২০১৯-২০ বিপিএল এবং ২০২২ বিপিএলে মুশফিক ছিলেন খুলনা টাইগার্সের অংশ। ২০২৩ সালে আবার ফিরে যান সিলেটে। সেবারই শিরোপার সবচেয়ে কাছে গিয়েছেন মুশি। যদিও ফাইনালে কুমিল্লার কাছে হারতে হয়েছে তাকে। মাঝে ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে ছিলেন বেক্সিমকো ঢাকায়। সেখানেও ব্যর্থ হয়েছিলেন মুশফিক।
অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ২০১২ এবং ২০১৩ মৌসুম খেলেছেন চিটাগাং কিংসের জার্সিতে। এরপর ২০১৫ বিপিএল বরিশাল বুলসে কাটিয়ে তিন মৌসুমের জন্য চলে যান খুলনায়। ২০১৯-২০ মৌসুমে আবার এসেছিলেন চট্টগ্রামে। এরপর ২০২২ সালে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকায়। সবশেষ দুই আসর আবার খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে।