ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল ঘোষণা


নিউজ ডেস্ক
৯:৩৪ - মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৩, ২০২৪
আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দল ঘোষণা

২০২৩ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে দল ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যেখানে আধিপত্য দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের সেরা একাদশের মতো বর্ষসেরা দলেও জায়গা পেয়েছেন ৬ ভারতীয়। একইভাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মাত্র দুই ক্রিকেটার সেখানে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলের দুই ক্রিকেটার ও নিউজিল্যান্ডের একজন রয়েছেন বর্ষসেরা দলে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি একাদশে দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার ও তিন পেসারকে রেখেছে।

নির্বাচিত সেরা একাদশের অধিনায়ক ভারতেরই রোহিত শর্মা। দেশটি থেকে আরও আছেন— বিরাট কোহলি, শুভমান গিল, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড ও অ্যাডাম জাম্পা, দক্ষিণ আফ্রিকার হেইনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন, নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন।


রোহিত শর্মা (অধিনায়ক, ভারত)

আরেকটি স্মরণীয় বছর পার করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫২ গড়ে তিনি পুরো বছরে ফরম্যাটটিতে ১২৫৫ রান করেছিলেন। বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন সেরা রানসংগ্রাহকদের দৌড়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৩১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। পুরো আসরে তার নেতৃত্বে ভারত দারুণ ধারাবাহিক খেললেও, ফাইনালে তাদের তিক্ত হার সঙ্গী হয়েছিল। তবে বর্ষসেরা একাদশের নেতৃত্বে তাকেই রেখেছে আইসিসি।


রোহিতের সঙ্গে বর্ষসেরা একাদশের ওপেনিংয়ে রয়েছেন শুভমান গিল। তিনি গত বছরটা কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। তার শুরুটা হয়েছিল ওয়ানডেতেই ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে। হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাত্র ১৪৯ বলে গিল ২০৮ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটি খেলেছেন। এছাড়া এক বছরেও ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফরম্যাটটিতে তার ব্যাটে এসেছে ১৫৮৪ রান।


ট্র্যাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া)

ওয়ানডাউনে জায়গা করে নেওয়া অজি ব্যাটার হেড ইতোমধ্যে বড় মঞ্চের তারকা বলে খ্যাতি পেয়েছেন। তার দুর্দান্ত দুই ইনিংসে এক বছরেই দুটি শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারিয়ে অজিদের বিশ্বকাপ জয়ের পথেও বাঁ-হাতি এই ওপেনার খেলেছিলেন ১৩৭ রানের এক ইনিংস। যার মাধ্যমে ষষ্ঠ ওয়ানডে শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।


বিরাট কোহলি (ভারত)

বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন কোহলি। যা তাকে বিশ্বকাপসেরা একাদশের পর বর্ষসেরা দলেও জায়গা করে দিয়েছে। সতীর্থ শুভমান গিলের পরই রানসংগ্রহে বছরের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। তিনি করেছেন ১৩৭৭ রান। একইসঙ্গে বিশ্বকাপেই তিনি ওয়ানডে শতকে শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ম্যাজিক ফিগারের (৫০) রেকর্ড গড়েছিলেন।


পুরো বছরে ফরম্যাটটিতে ১২০৪ রান করে নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিয়েন ড্যারিল মিচেল। তিনি একশ স্ট্রাইকরেটের পাশাপাশি রান করেছেন ৫২.৩৪ গড়ে। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে দুই দেখাতেই করেছিলেন সেঞ্চুরি (১৩০ ও ১৩৪ রান)।


হেইনরিখ ক্লাসেন (উইকেটরক্ষক, দক্ষিণ আফ্রিকা)

অভিজ্ঞ এই প্রোটিয়া ব্যাটারও বিশ্বকাপে বেশ ফর্মে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে গত সেপ্টেম্বরে তিনি সেঞ্চুরিয়ানে খেলেন ১৭৪ রানের উইনিং-নক। বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১০৯ রান করেছিলেন। স্টাম্পের পেছনেও ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ছিল নজরকাড়া উপস্থিতি।


মার্কো জানসেন (দক্ষিণ আফ্রিকান)

পেসের পাশাপাশি ব্যাট হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো ক্লাসেনের স্বদেশি মার্কো জানসেন অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন। এক ম্যাচে ৪৭ রানের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেটও পেয়েছিলেন এক ম্যাচে। পরে সেই ফর্ম নিয়ে যান বিশ্বকাপ আসরেও।


অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া) ও কুলদীপ যাদব (ভারত)

অস্ট্রেলিয়ান লেগ-স্পিনার জাম্পা এবার মিশ্র বছর কাটিয়েছেন। যদিও বিশ্বকাপে ফের নিজের সামর্থ্য দেখাতে ভুল করেননি তিনি। আসরটিতে তিনবার চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন এই ডানহাতি লেগি। টুর্নামেন্টটিতে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটও পেয়েছেন। এছাড়া বছরজুড়ে ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।


অন্যদিকে, বছরের সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব। বাঁ-হাতি এই লেগি দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বিশ্বকাপেও। এশিয়া কাপে ভারতের শিরোপা জয়ে কুলদীপের দারুণ ভূমিকা ছিল। এছাড়া পুরো বছরে তিনি ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ উইকেট শিকার করেছেন।


মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি (ভারত)

ওই বছর একটি কথা প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল- যেদিনটা সিরাজের, সেদিন আরও কেউ দাপট দেখাতে পারবেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দু’বারই তিনি ওই নজির দেখিয়েছিলেন। পুরো বছরে পেয়েছেন ৪৪ উইকেট। এছাড়া আরেক পেসার মোহাম্মদ শামি তুলনামূলক অনেক কম ম্যাচ খেললেও, উইকেট শিকারে অন্য অনেকের চেয়ে ছিলেন এগিয়ে। বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক, কয়েক ম্যাচ পর একাদশে ঢুকেও শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন শামি। কিউইদের বিপক্ষে ৫৭/৭ ছিল বিশ্বকাপে যেকোনো ভারতীয় বোলারের ইতিহাস গড়া বোলিং ফিগার।