ঢাকা বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

একাদশে ‘১২ জন’, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে তুমুল বিতর্ক


নিউজ ডেস্ক
৫:৩৩ - শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৫
একাদশে ‘১২ জন’, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে তুমুল বিতর্ক

ভারতের মাটিতে দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল, প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি শেষে স্বাগতিক সূর্যকুমার যাদবের দল ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। বিপত্তি বেধেছে চতুর্থ ম্যাচে। যেখানে ভারত একজন অলরাউন্ডারের পরিবর্তে দ্বিতীয় ইনিংসে একজন ফুলটাইম পেসারকে খেলিয়েছে। যা নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। হারের পর ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের মতে, ‘১২ জনের একাদশ’ নিয়ে খেলেছে ভারত!

পুনেতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে গতকাল (শুক্রবার) টস হেরে আগে ফিল্ডিং নেয় ইংল্যান্ড। যেখানে স্বাগতিকদের প্রথম একাদশে ছিলেন অলরাউন্ডার শিভাম দুবে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে কনকাশন সাব (ইনজুরিজনিত পরিবর্তন) করিয়ে স্বাগতিকদের একাদশে নামানো হয় তরুণ পেসার হার্ষিত রানাকে। ব্যাটিংয়ে দুবে ঝড় তুলেছিলেন দুবে, পরে আবার তার পরিবর্তে নামা রানা বোলিংয়ে গতির ঝড়ে ইংলিশদের নাকাল করেছেন।

শিভাম দুবে একজন অলরাউন্ডার, যার ব্যাটিংটা মূলত দলের প্রধান শক্তি। এর বাইরে অনিয়মিত মিডিয়াম পেসারের ভূমিকায়ও তাকে দেখা যায়। কিন্তু অনিয়মিত একজন বোলারের জায়গায় ফুলটাইম পেসার রানাকেই নেওয়ায় ইংলিশদের আপত্তি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে দেখে নাকি সফরকারী শিবির অবাক হয়ে যায়। যা কোনোভাবেই মানতে রাজি নন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। এই কনকাশন নিয়ম সঠিক হলে, পরবর্তী ম্যাচে নিজেরাও ‘১২ জনের’ একাদশ ঘোষণা করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ম্যাচ শেষে জস বাটলার বলেন, ‘এটি সঠিক রিপ্লেসমেন্ট ছিল না। সমান রিপ্লেসমেন্টের জন্য হয়তো দুবেকে ঘণ্টায় ২৫ মাইল গতিতে বল করতে হবে, নয়তো ব্যাটিংয়ে ‍উন্নতি করতে হবে রানার। আমি যখন ব্যাট করতে নামি, তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে– ‘‘হার্ষিত কার পরিবর্তে খেলছে?’’ তারা বলল যে তাকে কনকাশন রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে আমি একমত নই। কিন্তু খেলার অংশ ভেবেই আমি জয়ের লক্ষ্যে ম্যাচটা চালিয়ে নিই।’ এরপর মজার ছলেই ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘সম্ভবত পরবর্তী ম্যাচে আমরা টস দিতে নামলে বলব যে আমরা ১২ জন নিয়ে খেলছি।’

আইসিসির ‘কনকাশন সাব’ নীতিমালার ১১.২.৭ ধারায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের (পুরুষ) প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী পরিবর্তনীয় ক্রিকেটারের বিষয়ে বলা হয়েছে। ১.২.৭.৩ ধারায় বলা আছে– যে খেলোয়াড়ের কনকাশন হয়েছে, তার পরিবর্তে ‘লাইক-ফর-লাইক’ প্লেয়ার নামানোর অনুমোদন দেবেন ম্যাচ রেফারি। যে খেলোয়াড়কে দলে নিলে বাকি ম্যাচে তার দল বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ, ব্যাটারের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে ব্যাটার, বোলারের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে বোলার এবং অলরাউন্ডারের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নামাতে হবে অলরাউন্ডারকে।

এর সঙ্গে আইসিসির নিয়মে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। ১.২.৭.৪ ধারা অনুযায়ী– ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে যে খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাকে ‘লাইক-ফর-লাইক’ হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন, যে খেলোয়াড়কে তুলে নেওয়া হচ্ছে, তিনি ম্যাচের বাকি সময়টা কোন ভূমিকা পালন করতেন এবং সংশ্লিষ্ট বিকল্প খেলোয়াড় কোন ভূমিকা পালন করবেন। সেইসঙ্গে আইসিসির নিয়মে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ম্যাচ রেফারি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত।