রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়ে বুধবার (৮ মে) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং নির্দেশনা দেন।
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ভাঙন এলাকায় দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছেন শ্রমিকরা। এদিকে ভাঙনকবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগেভাগে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এত বড় ক্ষতি কখনো হত না।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে ভাঙন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে বলেন, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটে হঠাৎ ভাঙনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।