বাংলাদেশের জন্ম যদি হয় আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাক্ন্ড আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিয়োগান্ত ঘটনা।
১৫ আগস্টের সেই দিন কেবল মুজিবের বক্ষে বুলেটবিদ্ধ করা হয়নি, আঘাত করা হয়েছিল গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর। গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল পুরো বাংলাদেশ নামক দেশটিকে। শুধু শেখ মুজিবকেই নয় বিকৃত করা হয় রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিকে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর পরিস্তিতি ছিল অত্যন্ত কঠিনতম। ঐ সময় শুধু রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমই নয় বেসরকারী বা ব্যক্তিপর্যায়ও বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া যেতোনা। আর এখন পরিবেশ অনুকুলে থাকায় বঙ্গবন্ধুর নামে জয়ধ্বনি তুলছে অনেকে। সে সময়ের সুবিধাভোগীরা, বঙ্গবন্ধু হত্যায় আনন্দকারীরা নাকি এখন মন্ত্রীসভায়।
বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ৬ দশকের বেশী সময় ধরে পদচারনা। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তো অবশ্যই, মৃত্যুর পরও তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে আমাদের রাজনীতি, রাষ্ট্র উন্নয়ন।
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান, রাষ্টনায়ক শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কোন নেতা বাঙালির আবেগ, আশা আকাঙ্খাকে এমনভাবে ধারন করতে পারেনি।
শেখ মুজিব মানেই আদর্শ আর গর্জে উঠার মূর্তপ্রতিক। তিনি বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন ভাবাদর্শের সন্ধান, পাকিস্তানী বন্দুকের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার সাহস আর আমাদের প্রিয় ভালোবাসার 'বাংলাদেশ'
লেখক: কৃষিবিধ শাহাদত হোসেন