ঢাকা বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন, গ্রেপ্তার ২


নিউজ ডেস্ক
৫:০২ - শুক্রবার, জুন ২৮, ২০২৪
পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের হাতে অপর প্রেমিক খুন, গ্রেপ্তার ২

রংপুর মহানগরীতে পরকীয়ার জেরে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর হাজীরহাট রনচন্ডী এলাকার তমিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহের বানু ওরফে শাহনাজ (৩০) ও একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬)। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে বিকেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিককের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন। 

তিনি জানান, ২০০৮ সালে শাহনাজের সঙ্গে তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। স্বামী বয়স্ক হওয়ায় শাহনাজ তার শারীরিক চাহিদা পূরণে ২০১০ সালে আসামি মঞ্জুরুলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় এক বছর আগে আরেক প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে একই সম্পর্কে জড়ান শাহনাজ। তিনি সাদ্দামকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।  এরই একপর্যায়ে শাহনাজ বিষয়টি মঞ্জুরুলকে জানান এবং যে কোনো মূল্যে তাকে তাদের সম্পর্কের মাঝ থেকে সরিয়ে দিতে বলেন। 

উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, গত ২৬ জুন রাত ২টার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শাহনাজের বাড়ির উঠানে সাদ্দাম হোসেনকে দেখতে পায় মঞ্জুরুল। বাড়ির লোকদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দুজন (সাদ্দাম ও মঞ্জুরুল) সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠের দিকে যেতে থাকে। সাদ্দাম পেছন থেকে হাঁসুয়া নিয়ে মঞ্জুরুলকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে সাদ্দাম কাঁদায় পা পিছলে পড়ে যায়। সুযোগ বুঝে সাথে থাকা দা দিয়ে সাদ্দামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মঞ্জুরুল। এ ঘটনাটি মঞ্জুরুল পরে শাহনাজকে অবগত করে। 

তিনি আরও বলেন, শাহনাজের স্বামীর বয়স প্রায় ৭৫ বছর এবং তার স্বামী ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে থাকতো। একাই একটি ঘরে থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল শাহনাজ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট রণচন্ডি ধনীপাড়া এলাকা থেকে সাদ্দাম হোসেনের (৩৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহত সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার তহির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় কৃষক হলেও তিনি মাঝে মধ্যে অটোরিকশা ও ট্রাক চালাতেন।