বন্যার আগেই ভাঙন রোধে যমুনা নদীতে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পৌলী গ্রামে যমুনা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। চলতি বন্যার মধ্যে কাজটি শুরু করলে টেকসই হবে না। তাই পানি কমে গেলে কাজ শুরু হবে। ফলে পরবর্তী বন্যায় নদীভাঙন রোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, নদীভাঙন রোধে পাড় থেকে দেড় থেকে দুইশ ফুট দূরে স্পার দেওয়া হবে। ফলে স্রোতের ধাক্কা সরাসরি পাড়ে লাগবে না। এতে তেমন ভাঙনও হবে না। পলি মাটি পড়ে এই জায়গায় আস্তে আস্তে চর জাগবে। বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কাজ করা হয়েছে। এর ফলে ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া জমিতে চাষাবাদসহ বসতবাড়ি করা যাবে। এছাড়া নদী শাসনের মাধ্যমে গতিপথ সোজা রাখা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যুগের পর যুগ নদী ভাঙে, নদী গড়ে। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চরও জেগে উঠে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) মাহবুুর রহমান, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।