ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবে বিধ্বস্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুকুর, মাছের ঘের, বন, আধা পাকা ও কাঁচা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ফসলের। উপজেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব এখনো নিরূপণ করতে না পারলেও শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তবে, উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানকার অধিকাংশ মানুষ মৎস্য পেশায় জড়িত। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য চাষিরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলায় আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার কুয়াকাটা এলাকার মাছ চাষি মো. ইদ্রিস গাজি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে আমাদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আমার বাগানের প্রায় ৩০ মণ আম ঝড়ে পড়েছে। মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, উপজেলার ৪ হাজার ৫৯০টি পুকুর এবং ৭৭৮টি মাছের ঘের অতি বর্ষণ ও প্রবল জোয়ারে ডুবে গেছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জোয়ারের পানির সঙ্গে বের হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রোমাল কলাপাড়া উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এতে কলাপাড়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন কোন খাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। এরপর পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোসহ সবকিছু গোছানোর কাজে হাত দেওয়া হবে। তবে মৎস্য চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।