ঢাকা মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

লাঠিসোঁটা হাতে রাত জেগে বাস পাহাড়ায় চালকরা


নিউজ ডেস্ক
৪:০৮ - বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
লাঠিসোঁটা হাতে রাত জেগে বাস পাহাড়ায় চালকরা

কারও হাতে লাঠি আবার কারও হাতে বাঁশি। কিছুক্ষণ পর পর একসঙ্গে বাঁশি বেজে উঠছে। একসঙ্গে থাকা ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দলের সবার হাতেই রয়েছে একটি করে লাঠি। দল বেধে তারা বাসের চারদিক ঘুরে ঘুরে পাহারা দিচ্ছেন। নোয়াখালীর সদর উপজেলার বিআরটিসি সোনাপুর বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রাতের চিত্র এটি। হরতাল অবরোধে আগুন সন্ত্রাস থেকে নিজেদের পরিবহন নিরাপদ রাখতে চালক-কারিগররাই রাতে পর্যায়ক্রমে পাহারা দিচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিআরটিসি সোনাপুর বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে বাস। বাসকে ঘিরে চারপাশে পাহারায় আছে বাসের চালক ও কারিগররা। যেকোনো সহিংসতা ঠেকাতে লাঠি ও বাঁশি হাতে রাত জেগে বাস পাহারায় তারা।

সোনাপুর বাস ডিপোর প্রশিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশে বিএনপি জামায়াত অরাজকতা চালাচ্ছে। আমাদের বাসের নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিচ্ছি। কোনো দুষ্কৃতকারী যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে এ জন্য আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

মামুনুর রশীদ নামের এক গার্ড কমান্ডার বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এই রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপরে আমাদের রুটি রোজগার। এর ক্ষতি হলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। আমাদের ইউনিট প্রধান ওমর ফারুক মেহেদী স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এখানে আমাদের রান্নাবান্না ও বিনোদের ব্যবস্থা আছে। 

মো. সোহেল নামের এক বিআরটিসি কর্মচারী বলেন, আমরা যারা বিআরটিসি কর্মচারী তাদের প্রত্যেকের উচিত বিআরটিসির নিরাপত্তা দেওয়া। আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে এই সম্পদ আমাদের এবং রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। আমরা এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে।

বিআরটিসির সোনাপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক মেহেদী বলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম মহোদয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে আমরা বিআরটিসির বাস পাহারা দিচ্ছি। এই সম্পদ আমার না, এটা দেশ ও জাতির সম্পদ। এই বাস নিরাপদ রাখতে আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা আমরা যথাযথভাবে পালন করছি। আমরা সব সহকর্মীরা তিন শিফটে ভাগ করে এটি পাহারা দিচ্ছি। সবার জন্য খাবার ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সম্পদ রক্ষা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।