ঢাকা শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Rupalibank

আগামী নির্বাচনে এককভাবে ভোট করবে জাতীয় পার্টি : জি এম কাদের


নিউজ ডেস্ক
১১:০৭ - বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
আগামী নির্বাচনে এককভাবে ভোট করবে জাতীয় পার্টি : জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশ সংকটময়ু সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কখন, কোথায় কোন অবস্থার সৃষ্টি হবে তা কেউ জানে না। জাতীয় পার্টি জনগণের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে শহরের ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করছে। টেলিভিশনের মালিকগুলো সরকারের পছন্দমতো নিউজ কাভার করে। আমাদের সত্য কথাগুলো- সরকার যেটা চায় না, সেটা তারা প্রচার করে না।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে ভোট করবে জাতীয় পার্টি, কারো সঙ্গে আমরা যাব না। 

জি এম কাদের বলেন, এই সরকারের আমলে একটি ধনী শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের অবস্থা খুব খারাপ। 

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আব্দুর রশীদ সরকারের সভাপতিত্বে উৎসবমুখর পরিবেশে দীর্ঘ ১১ বছর পর দুপুর দেড়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। পরে বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান বক্তা জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীসহ রংপুর বিভাগ ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। 

এর আগে সকাল থেকেই সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার সাত উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে আসেন শত শত নেতাকর্মী। তারা আশা করছেন, এই সম্মেলন জেলার জাতীয় পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে। তৃণমূলসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে এবার জেলা কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন তারা। 

জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. সরওয়ার হোসেন শাহিন বলেন, উৎসাহ-উদ্দীপনায় সম্মেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রমাণ করে জাতীয় পার্টি কতটা শক্তিশালী। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়েছে, এখন শুরু হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। সেখানে জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিষয়ে সিন্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।