গত দুইদিন ধরে অব্যাহত বর্ষণে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, নদ-নদীর পানিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা দুঃশ্চিতায় পড়েছেন।
একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ কৃষি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না।
এদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়া, ফায়ার সার্ভিস, হাটিরপাড় ও নিম বাগান এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৯ মিলিমিটার। এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের রিকশাচালক সুজন মিয়া বলেন, গতকাল শনিবার সারাদিনে মাত্র ৩০০ টাকা আয় করতে পেরেছি। সেটা দিয়ে কিস্তি মিটাইছি। বাজার করার কোনো টাকা নাই। আজ তো খুব খারাপ অবস্থা। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হবাইছে। ঘর থেকে মানুষ না বেড়ালে ভাড়া হয় কেমনে। এমন আর দুই দিন থাকলে হামরা গরিব মানুষগুলোর বিপদ।
একই ইউনিয়নের নামদেল আলী বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। কাজ কাম বন্ধ। টাকার চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। রাত পোহালে কিস্তি। ঘরে বাজার সদাই নাই। খুব দুঃশ্চিন্তায় পড়ছি। এভাবে বৃষ্টি হলে মানুষের চলাফেরা কাজকর্ম সব বন্ধ হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত দুইদিন ধরে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও দুই দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।