ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

টাকার অভাবে অপারেশন হচ্ছে না রোকসানার


নিউজ ডেস্ক
৬:৩২ - রবিবার, জুলাই ৩১, ২০২২
টাকার অভাবে অপারেশন হচ্ছে না রোকসানার

টাকার অভাবে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর শিশু রোকশানার অপারেশন করতে পারছে না পরিবার। ফলে দিন দিন তার শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এ কারণে দরিদ্র পরিবারটি সাহায্যের আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের রাংটিয়া এলাকার দরিদ্র আব্দুর রহমান ও রুকিয়া বেগমের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট রোকসানা (১১)। পাহাড়ে লাকড়ি কুড়িয়ে তা বিক্রি করে এবং অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।

চার বছর বয়সে আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায় রোকসানার। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি বাবা-মা। রোকসানার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় একমাস চিকিৎসা করার পর তার অবস্থার উন্নতি হয়। সে যাত্রায় তার শরীরের ঘা ভালো হয়। কিন্তু কয়েকটি রগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দিন যত যাচ্ছে তার নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হলে তারা জানায়, রোকসানার রগের অপারেশন করতে হবে। টাকাও লাগবে অনেক। কিন্তু তার অপারেশন করার টাকা জোগাড় করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রােকসানার পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্যের আবেদন করেছে।

রোকসানার মা মোছা. রোকিয়া খাতুন ঢাকা পােস্টকে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। কামকাজ কইরা পেটের ভাতই জোগাড় করাবার পাই না। বেডির (কন্যা) চিকিৎসা করামু কেমনে? আমাগোরে কিছু সাহায্য করলে মেয়েডারে অপারেশন করবার পাইতাম।

প্রতিবেশী সফিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় এলাকার লোকজন টেহা তুইলে রোকসানারে চিকিৎসা কইরা আনাইছে। এহন আবার টেহা নাগব। এলাকার মানুষ তো বারে বারে টেহা দেয় না। সরকার যদি কিছু টেহা দিত, তাইলে মেয়েডারে চিকিৎসা করান যাইত।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, আমরা ফেসবুকে দেখার পর মেয়েটার খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছিল। এখন টাকার প্রয়োজন। আমরা দেখছি তাকে সাহায্য করা যায় কীভাবে?