প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিক্ষার্থীদের আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি ১৬ জুলাই যারা নাশকতা-তাণ্ডব করেছে, সেই সমস্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষণায় আজ সারাদেশে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকার এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
সুধীজনরা মনে করছেন, এখনও কোটা সংস্কার নিয়ে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণ সম্ভব। সরকার ও কোটা সংস্কারের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নতি করা সম্ভব বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।
বিশেষ করে ক্যাম্পাসগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ফলে একটি ইতিবাচক দিক তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগকে সংঘর্ষে দেখা যাচ্ছে না। ফলে সরকারের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের আলোচনার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা শিক্ষার্থী আছেন তারাও আলোচনা নাকচ করে দেবে— এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং এই মুহূর্তে যদি সরকারও আলোচনার প্রস্তাব দেয় এবং সেটি যদি তারা নাকচ করে দেয় তাহলে জনমত তাদের বিপক্ষে চলে যাবে বলে মনে করছেন তারা।