বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসনের ফল নিয়ে এবার হাইকোর্টে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনায় কারচুপিসহ একাধিক অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা। শুক্রবার বেলা ১১টায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গত ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের দিনই মমতা বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে আদালতে যাবেন তিনি। কিন্তু কবে যাবেন, সে ব্যাপারে কিছুই জানাননি সে সময়। ভোট গণনার দিন টানটান উত্তেজনায় প্রথমে খবর চাউর হয়, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন গণনা নিয়ে তার অভিযোগ আছে। সঙ্গে অন্যান্য অভিযোগ আছে। নিয়ম মেনেই মুখ্যমন্ত্রী দেড় মাসের মধ্যে সেই পিটিশনটি জমা দিয়েছেন। ২ মে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। ১৭ জুন দেড় মাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পিটিশন দায়ের করায় শুক্রবার থেকে মামলা শুরু হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি মতোই তিনি কাজ করেছেন।
কিছুক্ষণ পরই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে পুর্নগণনার দাবি জানালেন খোদ মমতা।
গণনায় কারচুপির অভিযোগে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। গণনার সময়ে দু’ঘণ্টার জন্য সার্ভার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়। এছাড়া মমতা ১২০০ ভোটে জিতেছেন এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরও নতুন করে গণনা করে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণার বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছে শাসক দল।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনের কোণের গোপন ব্যথা প্রকাশ হয়েছে আদালতে যাওয়ার ফলে। একটা সময়ে ভারতবর্ষের সবচেয়ে ছোট দলের সাংসদ দেবেগৌড়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন সবচেয়ে বড় দল বিরোধী দল ছিল। এটাই ভারতীয় গণতন্ত্রের উৎকর্ষ। এটা মেনে নেওয়া উচিত।