চট্টগ্রামের পটিয়া থানার মেহেরআটি গ্রামে কিশোর গ্যাং কর্তৃক বেশ কিছু অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মতে, জিসান নামক এক অভিযুক্ত (আবু ছালেহর ভাইপো ও মঞ্জুরের ভাগিনা) এবং জিসানের বাবাসহ (জসিম ) রোকন, আবুর ছেলে রায়হান, আজিজ, তুহিন, আরিফ, মিনহাজ, শওকতসহ আরো ৮ থেকে ১০ জন বিভিন্ন সময়ে মহল্লার চৌধুরী বাড়িসহ অন্যান্য এলাকার পথযাত্রী নারী এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পথ আটকে ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে! বিভিন্ন সময় রাতের অন্ধকারে পথ আটকে ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ব্যাংকে কর্মরত দুই ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য মতে, রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাদের পথ আটকে জিসান (আবু ছালেহর ভাইপো), তার বাবা এবং সেই এলাকার রোকন, রায়হানসহ ৭ থেকে ৮ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে। এরপর মারাত্মক ভাবে জখম করে এবং সাথে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীর আরো অভিযোগ করেন, প্রথমে আহত করে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে তারপর রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। আহতরা হলেন, মোঃ মিজান(৪০), মোঃ হেলাল(২৫), মোঃ কুতুব উদ্দিন (২৫)।
এই ঘটনার পর জিসানের বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় মামলা করছে ভুক্তভোগীরা।
কিশোর গ্যাং এর এরূপ অতর্কিত হামলা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শহরে যাতায়াতের জন্য মাদ্রাসা এলাকার রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। সেখানকার এলাকাবাসীও আতঙ্কিত।
উল্লেখ্য যে, হামলাকারী জিসানের নিজের বাড়ি মেহের আঁটির মিয়াজি বাড়ি এলাকার বাসিন্দারাও আক্রমনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শান্তি সমঝোতার জন্য এলাকার গ্রাম্য সালিশে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্তরা এতে সায় না দিয়ে বরং বেপরোয়া হয়ে উঠে বলে জানা যায়। কিন্তু সন্ত্রাসী আখ্যা পেলেও এই অভিযুক্তকে স্থানীয়রা কখনোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেনি। বর্বর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার বাসিন্দারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং একই সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধের সাথে যুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।