ঢাকা সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Rupalibank

সেই মন্টুর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন তারেক রহমান, পাশে থাকার আশ্বাস


নিউজ ডেস্ক
১৬:২৩ - রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
সেই মন্টুর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন তারেক রহমান, পাশে থাকার আশ্বাস

বরগুনায় আলোচিত মন্টু চন্দ্র দাস হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবারটিকে ন্যায়বিচার পেতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও পরিবারটিকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে বিএনপি সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি। 

রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি করইতলা এলাকার নিহত মন্টুর বাড়িতে উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের মোবাইল ফোনে কল করে নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে তারেক রহমান কথা বলেন।

তারেক রহমান মন্টুর স্ত্রীকে বলেন, আপনারা এই বাংলাদেশেরই মানুষ। আপনাদের সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমাদের দল আপনার পরিবার এবং আপনার পাশে থাকবে। যতটুকু সম্ভব আপনারা যাতে ন্যায়বিচার পান আমাদের দিক থেকে আমরা সেই সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করব। আমরা চেষ্টা করব আমাদের অবস্থান থেকে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আপনি ভয় পাবেন না দেশের মানুষ আপনার পাশে আছে, বিএনপি আপনার পাশে আছে। ভয় পাবেন না আপনি। 

‘মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আমার স্বামী নিহত হয়েছে, তিনটি সন্তান নিয়ে কী করব? আমারতো নিরাপত্তা নেই’- মন্টুর স্ত্রীর এমন কথার উত্তরে তারেক রহমান বলেন, আমি আমার নেতৃবৃন্দকে বলেছি, আমার নেতৃবৃন্দ আপনার ওখানে যাচ্ছে। এছাড়াও আমান ওখানে আছে। আমাদের দলের আরও সিনিয়র নেতাদেরকে আমরা বলেছি আপনার ওখানে যাবে, কথা বলবে। আপনার কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদেরকে বলবেন। কতটুকু পারবো জানি না তবে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার পাশে দাঁড়াতে। আপনি যাতে আইনের শাসন পান, ন্যায় বিচার পান সেজন্য আমার দলের যারা উকিল আছেন তাদেরকে আমরা সেভাবেই নির্দেশনা দেব। যাতে আইনগতভাবেও আপনাকে সহযোগিতা করা যায়। 

নিহতের ঘটনার ছয় দিন পার হলেও কোনো আসামি ধরা পড়েনি- এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, আপনি টেনশন কইরেন না, আমরা দেখি আপনার জন্য কী ব্যবস্থা করতে পারি। বাচ্চাদেরকে নিয়ে যে টেনশনে আছেন ইনশাআল্লাহ আমরা একটা ব্যবস্থা করব আপনার জন্য। আমানসহ আমাদের অন্য নেতাকর্মীদেরকে বলেছি তারা আপনার ওখানে যাবে, আপনি তাদেরকে বলবেন কী সহযোগিতা প্রয়োজন। যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি, সহযোগিতা করার জন্য। 

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামকে আমি নির্দেশনা দিচ্ছি তারা ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও দলীয়ভাবে বসে ভুক্তভোগী পরিবারকে যাতে বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট করতে না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি করইতলা নামক এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে বরগুনা সদর থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। এর আগে ৫ মার্চ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় সৃজীব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন তিনি। পরে ওই দিনই এ মামলায় অভিযুক্ত সৃজীবকে গ্রেপ্তার করলে, আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়াও মন্টুর মরদেহ উদ্ধারের দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হলেও তিনজনকে দায়েরকৃত অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি একজনের কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মুচলেকা রেখে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।