 
                      
                      
                      
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সারাদেশে পরিচালিত ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার-এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৯৭৮ সালে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এসব বিশেষ বিদ্যালয় ১৯৯৯ সালে গঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সেবা দেওয়া হচ্ছে ৯৪২ জন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর মাধ্যমে।
তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে বারবার বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হয় ২০১৮ সাল থেকে, তাও ২ বছরের বকেয়ার পরও অতিরিক্ত ২০ শতাংশ সিপিএফ কেটে রাখা হয়েছে। যার কোনো ব্যাখ্যা এখনো দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও টাইমস্কেল, পদোন্নতি, উৎসব ভাতা, পেনশনসহ নানান প্রাপ্য সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত।
২০১৯ সালের প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী তাদের সরকারি সকল ভাতা ও সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। অবসরপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক খালি হাতে বিদায় নিয়েছেন, কেউ কেউ আবেদন করেও পাননি পেনশন বা গ্র্যাচুইটি।
শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন ২০২৩-এর খসড়া অর্গানোগ্রামে ৭৪টি বিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে বিদ্যালয়গুলোর নাম রাখা হয়নি। ফলে ভবিষ্যতে তারা কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা পাবে কিনা-তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
তারা সরকারের কাছে যেসব দাবি তুলেছেন তা হলো- (১) ফাউন্ডেশন আইন ২০২৩-এর বিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে এমপিওভুক্ত বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করা। (২) ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সম্পূর্ণ বকেয়া বেতন প্রদান। (৩) স্থায়ী পদে থাকা ৯৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নাম বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা। (৪) ২৫ শতাংশ বকেয়া উৎসব ভাতা প্রদান। (৫) সিপিএফ জমা টাকা নিজস্ব ব্যাংকে ৬ মাস পরপর দেওয়া। (৬) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দেওয়া। (৭) পদোন্নতি, টাইমস্কেল, ইনক্রিমেন্ট বাস্তবায়ন। (৮) প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরিচালন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ। (৯) শিক্ষকদের ইনডেক্স নম্বর প্রদান। (১০) ২০০৯ সালের পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-বিএসএড শিক্ষকদের পূর্ণ বেতন প্রদান। (১১) প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। (১২) শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা।
 
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                      