নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৫ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠীতে নিজ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী, নৈশপ্রহরী ও আয়া নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আমু। এ ছাড়া, ঝালকাঠির এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজে মোটা অঙ্কের টাকা অনৈতিকভাবে তিনি আদায় করতেন। সম্পদের মধ্যে ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট, সাভারের বাটপাড়া মৌজায় ৪৮.৭২ লাখ টাকার অকৃষি জমি এবং ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় এক কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে।
এ ছাড়া, তার একটি গাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ পাওয়া যায় ১১ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৮ টাকা ও তার নিজ নামে মোট ২০ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার ৮৩৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
এসব সম্পদের বাইরেও তার নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ রয়েছে। তিনি নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট আমুর ঝালকাঠির বাসভবন থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর ১৮ আগস্ট তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে তার সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়।