মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ প্রকল্প পুনর্বিবেচনার জন্য সাভার নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা এবং সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এই আবেদন করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক মো. কামরুজ্জামান খান।
লিখিত আবেদনে, সাভার-আশুলিয়ার জনসংখ্যা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম তুলে ধরে তা বিবেচনায় নিয়ে এমআরটি-৬ প্রকল্পে (রাজধানী ভাটারা থেকে সাভার হেমায়েতপুর) মেট্রোরেলের লাইন পুনর্বিন্যাস করে সাভারের নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। সেখানে নিরিবিলি এলাকায় ডিপো করার উপযুক্ত জমি রয়েছে বলেও তিনি আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
কামরুজ্জামান খান জানান, সাভারে পৌরসভা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিআরপি, রেডিও কলোনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা রয়েছে। এ এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। সাভার পৌর এলাকার বাইরে মিলিটারি ফার্ম, বিপিএটিসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র, সরকারি দুগ্ধ খামার, সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন, ডিওএইচএস, নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড), বিকেএসপিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে কয়েক হাজার তৈরি পোশাক কারখানা।
আবেদনে আরও বলা হয়, জনসংখ্যা বিবেচনায় সাভার-আশুলিয়ায় বসবাস করেন এক কোটির অধিক মানুষ। ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় দেশের অন্যতম বৃহৎ নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া)। এই উপজেলায় তিনটি নির্বাচনী আসন অন্তর্ভুক্ত (ঢাকা-১৯, ঢাকা-২, ঢাকা-১৪)। এখান থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ কাজের প্রয়োজনে সড়ক পথে ঢাকায় যাতায়াত করেন দুর্ভোগ সঙ্গী করে। এতে অনেক গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত বাহন ঢাকায় ঢুকে রাস্তায় চাপ সৃষ্টি করে। এসব বিষয় বিবেচনা না করে এবং জনস্বার্থ গুরুত্ব না দিয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এমআরটি-৬ প্রকল্প সাভার হেমায়েতপুর থেকে সম্প্রসারণ করে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত করা হলে উল্লেখিত এলাকার সর্বসাধারণের সুফল পাবেন। পাশাপাশি ধামরাই উপজেলার বাসিন্দারাও উপকৃত হবে।