ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অভিভাবকদের মৌন অবস্থানে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ব্যানারে তারা সেখানে দাঁড়াতে চাইলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা পৌনে ১১টায় ঢামেকের প্রশাসনিক ব্লকের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়াতে চাইলে বাধার মুখে পড়েন তারা।
বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে দাঁড়াতেই দেয়নি। আমরা আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
এদিকে, এত জায়গা থাকতে ঢাকা মেডিকেলের সামনে তারা কেন অবস্থান নিয়েছেন— জানতে চাইলে সীমা দত্ত বলেন, ঢাকা মেডিকেলের সামনে কোনোভাবেই পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারে না। আমরা দেখেছি ১৫ তারিখে এখানে মুহুর্মুহু হামলা হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। এখানে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছিল তারা অসহায় ছিল।
আপনাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে সমস্যা হচ্ছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আপনারা দেখেন এখানে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের কারণে সমস্যা হচ্ছে, আমাদের কারণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এদিকে পুলিশের বাধায় অভিভাবকরা দাঁড়াতে না পেরে পরে তারা ঢাকা মেডিকেলে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে যান। খোঁজখবর নেওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
তবে অভিভাবকদের কেন দাঁড়াতে দেয়নি সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের মৌন অবস্থান ঘিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে ও ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।