মোঃ জাকারিয়া:: তিতুমীর কলেজের মূল ফটক থেকে একটু সামনে যেতেই দেখা মেলে সেই পুরোনো ডাকবাক্সের, যার গায়ে জমেছে ধুলো। আজ ১লা সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস। কালের বিবর্তনে, প্রযুক্তির ছোবলে চিঠি আদান-প্রদান নেই বললেই চলে। অথচ, এক সময় এই ডাকবাক্সের সামনে কতো অপেক্ষা ছিল, কতো আশার প্রহর গোনা।
প্রাচীন আমলের সাক্ষী এই ডাকবাক্সের পাশেই আছে একটি ছোট্ট স্টেশনারি। স্টেশনারির মালিক বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে এই ক্যাম্পাসে আছি। এক সময় চিঠি আসতো, মানুষ খুঁজতো, ডাকবাক্স খোলার জন্য কৌতূহল থাকতো। এখন তেমন চিঠি আর আসে না।
তিতুমীর কলেজ আইটি সোসাইটির দায়িত্বশীল মাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রজন্মের বেশিরভাগই কখনো চিঠি লিখেনি। মোবাইল ফোন, ই-মেইল, এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে চিঠি লেখার প্রয়োজনই যেন ফুরিয়ে গেছে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, চিঠি লেখার সেই দিনগুলো থাকলে ভালোই হতো।
তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোসাম্মৎ উম্মে হাবিবা বলেন, এক সময় চিঠিই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। আজকের প্রজন্মের কাছে চিঠি লেখার অভ্যাস প্রায় অচেনা। তবে চিঠির মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।" তিনি আজকের চিঠি দিবসে নতুন প্রজন্মকে শুভেচ্ছা জানান।
চিঠি এক সময় ছিল আনন্দের, আশার, কখনোবা দুঃসংবাদের বাহক। বাসায় বাসায় ডাকহরকরা সাইকেলে চেপে নিয়ে যেতেন প্রিয়জনের বার্তা। সেই চিঠির দিনগুলো হারিয়ে গেলেও, ডাকবাক্সের গায়ে জমে থাকা ধুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই সময়কে।