ঢাকা শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

সোনারগাঁ কিশোর গ্যাং ও অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ে করণীয় শীর্ষক সভা


নিউজ ডেস্ক
৩:৩৩ - শনিবার, জুলাই ১৩, ২০২৪
সোনারগাঁ কিশোর গ্যাং ও অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ে করণীয় শীর্ষক সভা

সোনারগাঁ প্রতিনিধি:: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ বিষয়ে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিববার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪ টায় বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির এর সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে, অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশ নারায়ণগঞ্জ জোনের এস আই(নিরস্ত্র) সবুজ কুমার দেব,সোনারগাঁ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তানভীর আহমেদ,সোনারগাঁ ফায়ার স্টেশনের স্টোন মাষ্টার সুজন কুমার হাওলাদার, ডগাইর রস্তম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাধারণ সম্পাদক নদীখাল ও পরিবেশ রক্ষা মুহাম্মদ মাসুম খাঁন।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন,   দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকা সোনারগাঁ প্রতিনিধি ও মারবদী সাহেবপাড়া যুবকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মীমরাজ হোসেন, বিডি ক্লিন সোনারগাঁ এর সমন্বয়ক কামরুজ্জামান রানা,এশিয়ান নারী অধিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তাজউদ্দীন, সাংবাদিক শাহজালালসহ প্রমুখ।

এই সময় বক্তারা বলেন-বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য মারাত্মক এক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে । কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজ তথা দেশের শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে, এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। উঠতি বয়সের ১৫ থেকে ১৭ বছরের কিশোররা পরিণত হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ে। 

পরিসংখ্যান বলছে এসব কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধমূলক কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করা, ইভটিজিং বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উদ্দেশ্যে বাজে মন্তব্য করা, একে অন্যের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হওয়া, ভয়-ভীতি, হুমকি দেওয়া, মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়িত হওয়া ইত্যাদি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক বা একাধিক পক্ষের হয়ে বিবাদে জড়িয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটাচ্ছে এসব উঠতি বয়সীরা৷ এক শ্রেণীর সন্ত্রাসীরা এসব কিশোরদের ব্যবহার করে সংঘটিত করছে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ড৷ এক সময় এসব অপরাধের পাশাপাশি মাদকের ভয়াল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে কিশোররা। তখন মাদকের অর্থের জোগান দিয়ে নিয়মিত ছিনতাই, চুরি, চাঁদাবাজি থেকে ডাকাতির মতন বড় বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব কিশোররা। প্রতিনিয়ত আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটকের পাশাপাশি কারাগার গুলোতে বাড়ছে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা৷ বিশেষজ্ঞদের মতে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে কিশোর গ্যাংকে নির্মূল কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

মতবিনিময় সভায় কিশোরদের অপরাধ দমনে করণীয় সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে - সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পারিবারিকভাবে ভাল-মন্দ বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া, কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা, পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার ব্যাবস্থা করা, কিশোরদের তার মা-বাবার উচিত পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, তাদের সহিত পারিবারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, তারা কার সাথে মেলামেশা করে তার খোঁজ খবর নেওয়া, তারা কখন বাসায় ফিরছে, কোথায় কার সাথে ঘোরাফেরা করছে তার খোঁজ খবর নেওয়া। এছাড়া তাদের বিখ্যাত লেখকদের গল্পের বই পড়ায় আগ্রহী করা। 

বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন বলেন, কিশোররা যেন তাদের পরিবারের ব্যাধিতে পরিণত না হয়ে ঘরের আলো হয়ে ওঠতে পারে তার ব্যাবস্থা করতে হবে। কিশোররা যেন সমাজের বিষ ফোঁড়া না হয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়ে হবে। তাদের অবহেলা না করে তাদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, যত্ন বৃদ্ধি করা।