মো: রেজাউল করিম মৃধা। ব্রিটেনের স্টুডেন্টদের জন্য আসছে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা।
শিক্ষা ই জাতির মেরু ডন্ড। শিক্ষা কে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়।দেখা গেছে এই করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও শিক্ষা প্রতিস্ঠান খোলা রাখার সর্বচ্চো চেস্টা ছিলো। শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধ থাকলেও অন লাইনে লেখা পড়া চলছে অবিরাম ভাবে। ব্রিটিশ সরকার লেখা পড়ার জন্য সজাগ দৃস্টি রাখে।
যে কোন মূল্যেই হোক লেখাপড়া চলবে। এই দেশে শিক্ষার্থীরা তো বটেই বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের ব্রিটেনে এসে লেখা পড়া করার আগ্রহ বা লেখাপড়ার জন্য ব্রিটেন সবার শীর্ষে। করোনাভাইরাস মহামারি পরবর্তী শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আগের চেয়ে আরো স্বচল ও গতিশীল করতে এবং বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে নতুন নতুন সহজ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
পরিবর্তন আনা হচ্ছে ব্রিটেনের স্টুডেন্ট লোনের ক্ষেত্রে। স্টুডেন্ট লোনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে নতুন নাম দেওয়া হবে ‘লাইফলং লোন ইন্টাইটলম্যান্ট’। এই নামে ১৬ বছর থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের যে কোনো শিক্ষার্থী জীবনের যে কোনো সময় সর্বোচ্চ চার বছরের জন্যে স্টুডেন্ট লোন হিসেবে তা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। সরকারি লোন নিয়ে লেখা পড়া করে নিজে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ।
জীবনকে সাজাবেন নতুন ভাবে। একজন শিক্ষার্থী ফুল কোর্স শেষ করতে প্রায় £৪০,০০০ পাউন্ড খরচ হয়। তবে সরকার শতকরা ২৫% ডিস্কাউন্ড দিয়ে থাকে। একজন স্টুডেন্ট বৎসরে মেইন্ট্যানান্স বাবদ লোন নিতে পারবেন £৯৪৮৮ পাউন্ড। তবে এই স্টুডেনিট লোন ফেরত দিতে হবে যখন লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করবেন এবং আপনার বেতন হবে £২৭২৯৫ পাউন্ড ।
লোন পরিশোধ করতে আপনি বাধ্য থাকবেন কেননা আপনার বেতন থেকে কেঁটে নেওয়া হবে। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার ভাষণে বলেন,”সব বয়েসী শিক্ষার্থীদের জন্যে স্টুডেন্ট লোন উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হবে। রাণীর ভাষণে সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা আশ্বাসের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
রানী পরিস্কার ভাবে বলেনছেন সকল শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন লোন দেওয়া হবে। যাতে সবাই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় সেই ব্যাবস্থা করা,”। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উচ্চ শিক্ষার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অথবা প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে যে কোনো শিক্ষার্থী জীবনের যে কোনো সময় এই লোন গ্রহণ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,”২০১৯ সাল থেকেই স্টুডেন্ট লোনে সব বয়েসী শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আইন পরিবর্তনে দেরি হয়েছে।এবার রাণীর ভাষণের মাধ্যমে তা উন্মুক্ত হচ্ছে সবার জন্যে এতে সব শিক্ষার্থী সমান সুযোগ পাবে,”।
এদিকে লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, গত ১১ বছর ধরে টোরি সরকারের একের পর প্রতিশ্রুতি শুনে আসছে জাতি। সব কিছুই বন্ধি থেকে যাচ্ছে ভাষণের মাধ্যমে। বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটছে না। ব্রিটেনের কর্মজীবি মানুষের জন্যে স্বচ্ছ কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে কনজারভেটিভ এবং লিবডেম কোয়ালিশন সরকারের আমলে ব্রিটেনে ইউনির্ভাসিটি ফি বাড়িয়ে বছরে ৯ হাজার পাউন্ড করা হয়। এরফলে ফি পরিশোধে অক্ষম পরিবারের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। ৪টি টাইপে স্টুডেন্ট লোন দেওয়া হয়। ১/Subsidised ২/ Unsubsidised ৩/ parent plus এবং ৪/ private তবে বেশীর ভাগ স্টুডেন্ট ইউনিভার্সিটি বা কলেজে পড়ার সময় টিউশিন ফি এবং মেইন্টানেন্স লোন নিয়ে থাকেন।
ব্রিটিশ সরকার বর্তমানে £১৭ বিলিয়ন লোন বরাদ্দ করেছে । এর মধ্যে ১.৩ মিলিয়ন শুধু ইংল্যান্ডের স্টুডেন্ট দের জন্য। স্টুডেন্ট লোন সহজ হলে শুধু মাত্র ব্রিটেনের শিক্ষার্থীরাই উচ্চ শিক্ষিত হবে না সারা বিশ্ব থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে।সেই সাথে যদি হয় লোন পরিশোধে দীর্ঘ সময় তাহলে ব্রিটেনে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা আরো উৎসাহিত হবেন। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারবেন অন্য দিকে অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধ হবে দেশ।ইউনিভার্সিটি ও কলেজ গুলি মুখরিত হবে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পদচারনায়।