যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির উদ্যোগে গত ২৭ শে জুন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অজেয় রূপের প্রতিচ্ছবি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক ভ্যাচুয়াল স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার নুরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক যুবনেতা জামাল আহমদ খান এর পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শহীদ সন্তান ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য নির্মুল কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেণ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য ওয়েলস চ্যাপ্টার এর সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর. মিডল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিফজুর রহমান খান, সাংস্কৃতিক সংগঠক রুবী হক, সাংবাদিক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, ও জোৎস্না পারভিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ত্যাগ–তিতিক্ষার সমুজ্জ্বলে যে নাম উদ্ভাসিত, যে নাম স্বদেশ প্রীতিতে অগ্নি উজ্জ্বল সে নাম জাহানারা ইমাম বলে উল্লেখ করে ভ্যাচুয়াল স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যখন বিএনপির পৃষ্টপোষকতায় ও মদদে মহাণ সাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা দেশে আবার নতুন করে পুনর্বাসিত হচ্ছিল ঠিক সেই সময় মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
তিনিই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে নবপ্রজন্মকে উজ্জ্বীবিত করেছিলেন। এখনও সকল মানবতা বিরোধীর বিচার সম্পন্ন হয়নি যতদিন পর্যন্ত সকল মানবতা বিরোধীর বিচার শেষ না হবে আমাদের আন্দোলন ততদিনই চলবে।
বক্তারা বলেন শহীদ জননীর আদর্শকে লালন করেই আমাদের সম্মুখপানে এগুতে হবে।