ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রতি বছরই দুর্দান্ত দল গঠন করে আবাহনী। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই তারা শুরু থেকে মাঠে নামে। চলতি ডিপিএলেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, গতকাল (মঙ্গলবার) দুই ম্যাচ হাতে রেখেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে আবাহনী শিরোপা নিশ্চিত করেছে। যে কারণে দলটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বেশ খুশি।
গতকাল বিকেএসপিতে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘ছেলেরা যেভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে তাতে অনেক খুশি। আজকে আবাহনী অর্ধেক শক্তির দল। তবে বিশ্বাস ছিল আমাদের যে দলটা আছে, ভালো করব। আমার মনে হয়, সবাই ভালো করছে। এটাই ক্রিকেট যে আমরা ২৬৭ রান তাড়া করেছি মাত্র পাঁচজন ব্যাটার নিয়ে।’
‘আমি বলব আফিফ এবং বিজয়ের (এনামুল হক) জুটিটা দুর্দান্ত ছিল। তারপর মোসাদ্দেকও দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে। সবমিলিয়ে ভালো ম্যাচ হয়েছে। আসলে প্রত্যেকটা ম্যাচেই ভালো ক্রিকেট খেলেছে আবাহনী। সত্যি বলতে ভালো ক্রিকেট খেলার কারণেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি’, আরও যোগ করেন সুজন।
শিরোপা জয়ের ম্যাচে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেছিলেন আফিফ। যে কারণে তাকে নিয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত কোচ সুজন, ‘বোলিংয়ে তানজিম সাকিব, ব্যাটিংয়ে আফিফ অবশ্যই, দুজনেই পার্থক্য তৈরি করেছে। আফিফের ব্যাটিংটা ছিল বিশেষ। আমি মনে করি এই ব্যাটিংটা ওকে বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস দেবে। অসাধারণ ইনিংস। এই বছর সে ওভাবে ব্যাটিং পায়নি। এই মাঠেই ৭০ রানের একটা ইনিংস খেলেছিল, ওই ম্যাচে আমরা স্ট্রাগল করেছিলাম। তাই এটি সময়োপযোগী ইনিংস। আমি বলব ম্যাচজয়ী একটা ইনিংস খেলেছে সে।’
কোচ হিসেবে আবাহনীর হয়ে এটি ৮ নম্বর শিরোপা সুজনের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আবাহনী চ্যাম্পিয়নের মতো দল বানায়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কি হতে পারে! আবাহনীর জন্য আমার আট নম্বর শিরোপা। শিরোপার জন্য দল গড়ি। ছেলেরা যেভাবে সেটা বাস্তবায়ন করেছে, আমি অনেক অনেক খুশি। আবাহনী দল হিসেবে সেরা। গরম তো অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর ছিল, সবার জন্যেই ছিল। এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর প্রশ্নই ছিল না।’
ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছিল সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি। ১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। চলতি আসরে তারা টানা ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে। অথচ এখনও দুই ম্যাচ বাকি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের। এ নিয়ে আবাহনী ডিপিএলের ২৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর যা তাদের পঞ্চম শিরোপা।