ঢাকা মঙ্গলবার, অক্টোবর ৭, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Rupalibank

উপদেষ্টার পদ নিয়ে ‘অনিশ্চয়তায়’ মাহফুজ আলম


নিউজ ডেস্ক
১৪:০২ - রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
উপদেষ্টার পদ নিয়ে ‘অনিশ্চয়তায়’ মাহফুজ আলম

দুই মাস ধরে উপদেষ্টা পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তি‌নি ব‌লেছেন, ‘আমি জানি না আমার গদি কালকে থাকবে কিনা।’

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা এসব মন্তব্য ক‌রেন।


তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামব, আমি জানি না। রাজনৈতিক দলগুলোকে চাইতে হবে যে আসলে এখানে যে বা যারা কাজ করতেছে ওরা কাজ করার ক্ষেত্রে ওনারা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারবেন। ওনারা কীভাবে অবস্টাকল করবেন না...এবং আমাদের কাজগুলো করতে দেবেন।’


মাহফুজ আলম বলেন, ‘মে মাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বলা শুরু করল যে ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চাই। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্লোগান সরকারি বাসভবন থেকে শুনতে পেতাম।’


সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।


মাহফুজ আলম বলেন, ‘সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনের খসড়া থেকে শুরু করে বিল আকারে পাস হওয়া পর্যন্ত ১৮টি ধাপ রয়েছে। আইনের ১৮টি খসড়া পেয়েছি এবং দুই মাস আগে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু এটি এখনও দ্বিতীয় ধাপে আটকে আছে।’


তার সময়ে কোনো মিডিয়া হাউজ বন্ধ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ৭২-৭৫ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, যার সমাধানে তিনি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া, নতুন মিডিয়া লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।


প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সচিবালয় চালাতে সচিব লাগবে, সাধারণ মানুষ দিয়ে মন্ত্রণালয় চলবে না। সিভিল-মিলিটারি ব্যুরোক্রেসি ও কর্পোরেট সমাজের শক্তিশালী নেক্সাস র‌য়ে‌ছে, যা ভাঙা কঠিন।’


গণমাধ্যম ক‌মিশ‌নের সা‌বেক প্রধান কামাল আহমেদ গণমাধ্যমের সুরক্ষা, আইনি সংস্কার ও পেশাদারিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ২০২৫' ও গণমাধ্যম কমিশন আইন-এর জন্য জনমত সংগ্রহ এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশের সুপারিশ করেন। ছয় মাস আগে রিপোর্ট জমা দেওয়া সত্ত্বেও সাংবাদিক সুরক্ষা অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।


তিনি সাংবাদিকদের শ্রমিক হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বেতন কাঠামো শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি, ওয়েজ বোর্ড সংস্কার এবং বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি ও সংবাদ সংস্থাকে এক বোর্ডের অধীনে আনার প্রস্তাব করেন।