বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তার পেছনে অনেক স্বপ্নদ্রষ্টার নিরলস প্রচেষ্টা রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম মহিউদ্দিন খান খোকন। তিনি শুধু একাধারে সফল উদ্যোক্তা এবং একজন দূরদর্শী পথপ্রদর্শক, যিনি বাংলাদেশের হসপিটালিটি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।
দেশের প্রথম চেইন হোটেল ব্র্যান্ড ‘ডিমোর (D’MORE)’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেন খোকন। তার হাত ধরে ডিমোর এখন রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, সাজেক, বান্দরবান এবং কুয়াকাটায় বিস্তৃত হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, গুণগত সেবা এবং আন্তর্জাতিক মানের অতিথিপরায়ণতা দিয়ে ডিমোর শুধু স্থানীয় নয়, বিদেশি ভ্রমণকারীদের কাছেও আস্থা অর্জন করেছে।
খোকনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করেছে— বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক মানের হোটেল চেইন গড়ে তোলা সম্ভব, যা দেশের পর্যটন শিল্পকে বৈশ্বিক মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ হসপিটালিটি গ্রুপ ‘কক্সটুডে’-এর ডিরেক্টর মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিউদ্দিন খান খোকন। তার নেতৃত্বে শুধু কক্সবাজার নয়, দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটেছে। তার ভিশন সবসময়ই ছিল পর্যটনকে কেবল ব্যবসা হিসেবে নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন খোকন। আধুনিক ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, হসপিটালিটি সার্ভিস, সেলস এবং ব্র্যান্ডিং বিষয়ে তার দক্ষতা তাকে শিল্পের একজন সফল কর্ণধার হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। পেশাগত জীবনে অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা, যা তার শ্রম, মেধা ও উদ্ভাবনী চিন্তার প্রমাণ বহন করে।
সহকর্মী ও শিল্পবিশেষজ্ঞদের কাছে মহিউদ্দিন খান খোকন একজন উদ্ভাবনী ও প্রজ্ঞাবান লিডার। হসপিটালিটি সেক্টরে তার কাজ নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে দেখিয়েছেন, কীভাবে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায় এবং কীভাবে একটি শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে মহিউদ্দিন খান খোকনের স্বপ্ন হলো— বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদে বাংলার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করুক এবং দেশীয় পর্যটন বিশ্বের দরবারে নতুনভাবে পরিচিত হোক। বিশেষ করে কক্সবাজারকে তিনি নিয়ে যেতে চান এক অনন্য উচ্চতায়, যাতে বিশ্বের পর্যটকরা সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা পান আধুনিক বিনোদন ও হসপিটালিটির।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে মহিউদ্দিন খান খোকনের অবদান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তার ভিশন, দূরদর্শিতা আর নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে— পর্যটন খাত দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং বৈশ্বিক পরিচিতি গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের এক স্বপ্নযাত্রী।