ঢাকা মঙ্গলবার, অক্টোবর ৭, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Rupalibank

ভ্রমণের বন্ধু তৌহিদুল আলম মিল্কী


নিউজ ডেস্ক
৬:৩৩ - শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
ভ্রমণের বন্ধু তৌহিদুল আলম মিল্কী

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে আজ যাদের নাম উচ্চারিত হয় আস্থার সঙ্গে, তৌহিদুল আলম মিল্কী তাদের অন্যতম। তিনি শুধু একজন সফল উদ্যোক্তা নন, বরং অনেকের কাছে হয়ে উঠেছেন প্রকৃত ‘ভ্রমণ বন্ধু’। কারণ তিনি মানুষকে শুধু ভ্রমণের পরিকল্পনা দেন না, বরং স্বপ্ন দেখান, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথও দেখান।

শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ। রাজধানীর একটি ছোট্ট ভবনে হাতে গোনা কিছু প্যাকেজ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন মিল্কী। কিন্তু স্বপ্ন ছিল বড়। একসময় আলোচিত হন মাত্র ৬৬ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুর ভ্রমণের অসাধারণ অফার দিয়ে। আবার ৬১ হাজার টাকায় মালদ্বীপ কিংবা শ্রীলঙ্কার ট্যুর প্যাকেজ মানুষকে দেখিয়ে দেয়, ভ্রমণ কেবল ধনীদের বিলাস নয়, বরং সঠিক পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই সম্ভব।


আজ তার প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড ‘আকাশবাড়ি হলিডেজ’ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ভ্রমণ সংস্থা। ৬টি অফিস, প্রায় ২০০ জন কর্মী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ অনুসারী তার সাফল্যের প্রমাণ বহন করছে। শুধু ব্যবসা নয়, তিনি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে অসংখ্য তরুণের মুখে হাসিও ফুটিয়েছেন।


মিল্কীর আরেকটি উদ্যোগ হলো বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা। খুব সামান্য খরচে ভিসা প্রসেসিং, ডকুমেন্টেশন, টিকিট বুকিংসহ সব ধরনের সমন্বয় করে দেন তিনি। যেসব শিক্ষার্থী একা এসব প্রক্রিয়া সামলাতে ভয় পান, তাদের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন এক বিশ্বস্ত অভিভাবক।


কক্সবাজারের টেকনাফে তার গড়া ‘মিল্কী রিসোর্ট’ও এখন আলোচিত একটি নাম। তিন তারকা মানের এই রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও সমুদ্রের কাছাকাছি থাকার অভিজ্ঞতা মিলছে। এতে বোঝা যায়, কেবল ট্যুর প্যাকেজ নয়, আবাসন খাতেও তিনি সমান মনোযোগী।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও মিল্কী ভীষণ আশাবাদী। তার মতে, শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, রাতভর বিনোদন, সাংস্কৃতিক আয়োজন, বিচ পার্টি, সঙ্গীত-নৃত্যের অভিজ্ঞতা দিয়েই পর্যটন শিল্পকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। এজন্য তিনি কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘বিশেষ পর্যটন জোন’, ঝুলন্ত ব্রিজ, কেবলকার ও নদীভিত্তিক প্রকল্পের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। প্রশাসনিক অনুমোদন ও অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ থাকলেও তিনি এসবকে ভয় না পেয়ে বরং নতুন সম্ভাবনার পথ হিসেবে দেখছেন।


ভ্রমণপ্রেমীরা তাকে ভালোবেসে ডাকে ‘ভ্রমণ বন্ধু’। তার উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা নয়— মানুষকে আনন্দ, বিশ্রাম আর সহজলভ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেওয়া। বিশ্ব পর্যটন দিবসে তার স্বপ্ন হলো, বাংলাদেশের সাধারণ পরিবারগুলোও সীমিত বাজেটে নিরাপদ ও আনন্দময় ভ্রমণ উপভোগ করুক, ভ্রমণ হোক সবার অধিকার।


তৌহিদুল আলম মিল্কী প্রমাণ করেছেন— পর্যটন শুধু স্বপ্ন নয়, তা বাস্তবও হতে পারে, যদি থাকে সাহস, সৃজনশীলতা আর মানুষের প্রতি আন্তরিকতা।