চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল যাত্রাটা খারাপ কাটছে না মুস্তাফিজুর রহমানের। ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করেছেন টাইগার এই পেসার। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছেন। অবশ্য আর বেশিদিন টুর্নামেন্টটিতে খেলতে পারছেন না ফিজ।
আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজকে শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর ১ দিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। ১ মে চেন্নাই বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ রয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচ খেলে পরদিন ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ।
মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মুস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনা বিসিবির। তাই আইপিএলের পুরো আসরের জন্য মুস্তাফিজকে এনওসি দেয়নি বোর্ড। কয়েক দিন আগেই মুস্তাফিজকে আইপিএলে না খেলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর ব্যাখা দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী। তিনি বলেন, আইপিএলে থেকে এই পেসারের শেখার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের কাছ থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।' জালাল ইউনুসের এমন বক্তব্য নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেই অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে।
এবার মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। মুস্তাফিজ যদি আইপিএল খেলত তাহলে সে বেশি লাভবান হত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, 'আইপিএল লাভবান হতো। আমরা কিভাবে লাভবান হবো।'
এদিকে, মুস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় ধারাভষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। তিনি বলেন, 'মুস্তাফিজ ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ডোয়াইন ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার।'
আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ডিরেক্টর যা বলেছে আশা করি তা মিথ্যা হবে। কারণ সে বলেছে আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। আসলে বাংলাদেশের রীতিটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।’