জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শুক্রাবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজিডি ভবনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সম্মানিত আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক মফিদুল হক।
ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে সবকিছুই অনিশ্চিত ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করেছেন তিনি।’
ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণেই সকল সংশয়, শঙ্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালেই বলেছিলেন বাংলাদেশ সকল সমস্যা কাটিয়ে একদিন বিশ্বে উন্নয়নে বিস্ময় হবে। আজকে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু পূর্বেই উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হত। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক গুরুত্বসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা।’