ঢাকা মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

একজন শেখ হাসিনা একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বাংলাদেশ


super admin
১৬:৫৪ - মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
একজন শেখ হাসিনা একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বাংলাদেশ

ইস্কান্দার মির্জা শামীম

শেখ হাসিনা শুধু একটি নাম নয়। এই নামটি এখন বাংলার মানুষের জন্য বড় সম্পদ। বলা যায় তিনি বাংলার মানুষের কাছে রত্ন। আজকের এই ডিজিটাল সোনার বাংলার কারিগর তিনি। যার ভরসায় এই দেশের মানুষ নতুনভাবে জীবন-যাপন করতে শিখেছে। এগিয়ে যেতে শিখেছে। তিনি অন্যায়কে কখনোই সমর্থন করেন না সেটার প্রমাণ প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কঠোরভাবে পরিচালিত হয়েছে। তিনি ক্যাসিনোকান্ডে তার নিজের দলের ভেতর যারা দুর্নীতি করতো তাদের ছাড় দেননি। যা রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। ছাড় পাননি সাহেদ, পাপিয়া, সাবরিনার মতো বিভিন্ন দুর্নীতিবাজরা। সরকারের ছায়ায় বসে যারা অপকর্ম করছেন তাদেরকেই তিনি প্রথমে ধরছেন। যা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। এই উপমহাদেশে এমন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এর আগে কখনও কেউ দেখেনি। যিনি অপরাধী নিজের দলের হলেও তাকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি দিতেও বিন্দুমাত্র চিন্তা করেন না।

এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম সফল ও আলোচিত নেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ে তুলতে একের পর এক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাফল্যের সাথে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর অধ্যবসায়ী মনোভাব এবং পরিশ্রমী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত।

বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত দেশের রুটে তুলে আনার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও মানবতার বিশ্বজননী হিসেবে ইতোমধ্যেই তার ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্য দশজন রাজনৈতিক নেতার চেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন ব্যতিক্রম। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একপাল নেকড়ের থাবায় বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁরা বেঁচে যান। স্বজন হারানোর তীব্র দুঃখবোধ বয়ে বেড়ানোর মতো ধৈর্য নিয়েই তিনি শ্যাওলার মতো এক স্থান থেকে অন্যস্থানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভেসে বেড়িয়েছেন। স্বজন হারানো দুই বোন দীর্ঘ ৬ বছর কাটিয়েছেন বিদেশের মাটিতে। একে তো আপনজনরা হত্যার শিকার, তদুপরি বিদেশে একদম স্বজনহীন, কথা বলার লোকও নেই। এমনতরো পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কন্যা ধীরে ধীরে শোককে শক্তিতে পরিণত করেছেন।

১৯৮১ সালে দেশবাসীর ইচ্ছায় এবং বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের আকুল আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশে ফিরেন। দেশের মাটিতে পা রেখে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে এতিম শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করেন, ‘তিনিও বঙ্গবন্ধুর মতো জনগণের পাশে থাকবেন, প্রয়োজনে জীবন দেবেন।’ বজ্রকঠিন শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজ থেকে ৩৯ বছর আগে উদারনৈতিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক আবহ ফিরিয়ে আনতে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে উজ্জীবিত করলেন দলকে, আশ্বস্ত করলেন দেশবাসীকে। এ জন্যে পিতার মতোই তিনি নিজ সংসার-সন্তানদের মায়া ত্যাগ করে রাজনৈতিক জীবনের কঠিন পথ বেছে নিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিনটি শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসেই শুভ সূচনাক্ষণ নয়, বিশ্বের দেশে দেশে নির্যাতীত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্যেও একটি ইতিবাচক দিন। বাংলাদেশ সেদিন উপলব্ধি করেছে যে, জাতির জনকের কন্যা যখন দেশে ফিরেছে তখন পিতৃহত্যার বিচার হবেই, মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী দলের বিজয় আসবেই। তাঁর অদম্য মনোভাব, আপোষহীনতা এবং অকুতোভয় নেতৃত্বের দূরদর্শিতাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের মর্যাদা ফিরে পায়। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের তীব্রতায় এরশাদ সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয় এবং আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার দলে পরিণত হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার অনমনীয় ভূমিকার কারণে ৯০ এর নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যে মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বাস্তবায়ন ঘটে। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৫ দলীয় মহাজোট সরকার গঠিত হয় এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। জাতিকে বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে আসার এক উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করলেন শেখ হাসিনা।

এ দেশের মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ হাসিনাকে বার বার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসনকালে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে নিপীড়ন-নির্যাতন আর শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার জন্যে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর অনুগ্রহে প্রতিবারই বেঁচে গেছেন তিনি।

গতিশীল নেতৃত্ব ও আন্দোলনের সফলতায় ২০০৮ সালে তাঁর দল আবার ক্ষমতায় আসে। এরপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন টানা তিন মেয়াদের সরকারের সময়  বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নয়ন ঘটেছে। বিশেষ করে দেশের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থদফা সরকার গঠনের শুরুতেই মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অবশ্য ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতিতে কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তিনি ভেবেছেন, পরবর্তী সময়ে সরকার গঠন করতে পারলে এক ধরনের উদ্যোগ নিলে দেশকে উন্নয়ন করা যাবে। কি কি উদ্যোগ নিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বের শ্রমবাজারের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে খুবই অনড়। জননেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন অপরাধী অপরাধীই, কোনো দলের পরিচয়ে ছাড় পাবে না। তিনি পরিকল্পিত উন্নয়ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

তিনি ঢাকাকে দুষণমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকার বাইরে সাভারে ‘ট্যানারি টাউন’ করেছেন। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিকেও ঢাকার বাইরে প্রতিষ্ঠার জন্যে ব্যাপক কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে প্রয়োজন শক্তিশালী স্থানীয় সরকার। তিনি এ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করছেন। মাদকবিরোধী কার্যক্রম বেগবান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উৎপাদনের লক্ষ্যে নদী খাল বিল পুনঃখনন করছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন শেখ হাসিনা। দলীয় লোকদেরও ছাড় দিতে নারাজ তিনি।

জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমানুষের নেত্রী হিসেবে দেশের স্বার্থে বরাবরই আপোষহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন। তিনি বিদেশী দাতা সংস্থার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশিরা যতো ষড়যন্ত্রই করুন না কেনো, বাংলাদেশ নিজের টাকাতেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে। তাঁর দৃঢ় মনোবলেই নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্যেই সম্ভবপর হয়েছে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া মোকাবেলা করেই নির্মাণ করছেন পদ্মা সেতু। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখছে যে, বাংলাদেশের মতো দেশ বিশাল পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে।

স্বপ্নাদর্শী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখেই প্রশান্তি পান না, তার বাস্তবায়নের মধ্যে তৃপ্তি পান। তিনি বিএনপি জামায়াতের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক কায়দায় মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নেয়া একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অনেকবার। গ্রেনেড হামলাও হয়েছে। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। ঘাতকরা সফল হতে পারেনি। শেখ হাসিনা অমিত সাহসী বিশ্ব নেত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ, দ্বন্দ্ব, হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষ, বারুদের পরিবর্তে তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশের জঙ্গিদের তিনি সাহসের সাথে দমন করেছেন।

বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ২০০০ ডলারের বেশি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে দ্রুত উন্নয়ন। অর্থনৈতিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। জাতীয় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৮ শতাংশের উপরে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ধাপে ধাপে পূরণ হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০২১ এর সকল কর্মসূচি। দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ-এসব কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে বিশেষ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রবাদ আছে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বুঝেনা। তাই বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ নেতৃত্বেও এক উজ্জল নক্ষত্র তা আমরা এখন যতটুকু না উপলব্ধি করতে পারছি তার অবর্তমানে পুরোটাই বুঝতে পারবো। কিন্তু আপনি শেখ হাসিনাকে ভালোবাসুন আর নাই বাসুন তিনি বাংলার মানুষকে আর এই সোনার বাংলাকে তার বাবার মতো করেই ভালোবেসে যাবেন। প্রিয় এই মানুষটির প্রতি রইলো অপার ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোদ ও কৃতজ্ঞতা। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার র্দীঘায়ু কামনা করি। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ভালো থাকলে ভালো থাকবে বাংলাদেশ।


লেখকঃ ইস্কান্দার মির্জা শামীম

সদস্য - বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটি