চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি রোববার (৯ জুন) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছান।
এ সময় পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে শুভেচ্ছা জানান। সেখান থেকে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি চতুর্থবারের মতো নিজ জেলা পাবনায় ইতোমধ্যে পৌঁছেছেন। তাকে শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে ঘিরে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তার সফর যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য প্রশাসন তৎপর থাকবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি সার্কিট হাউসে পৌঁছে গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম গ্রহণ করবেন। তিনি রাতে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন।
এরপর তিনি আগামীকাল ১০ জুন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনার সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। দুপুর ১টার দিকে সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। এরপর ১১ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন। ১২ জুন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব। অভিনন্দন জানিয়ে জেলা শহরজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন টানাচ্ছে নেতাকর্মীরা। এর আগের কয়েকটি সফরে তিনি পাবনার উন্নয়নমূলক বেশ কিছু কাজের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেগুলো বাস্তবায়নের পথে। এ সফরেও বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের ঘোষণার আশা করছেন পাবনাবাসী।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নিজ জেলা পাবনায় আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার স্মৃতিবিজড়িত লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, প্যারাডাইস সুইটস অ্যান্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডার পরিদর্শন করেন। পাবনা প্রেসক্লাবে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর পাবনা মিডিয়া সেন্টার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি শেখ কামাল হাইটেক পার্ক ও রাজাপুরে হেলিপ্যাড নির্মাণের ঘোষণা দেন।