ক্যাম্পাস প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সরকারি তিতুমীর শাখার ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ মার্চ (সোমবার) রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে এ ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি লালরিথাং বম এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমীন রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরমানুল হক।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আজ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। যে সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে তা কি অর্জিত হয়েছে? যে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তা আজ ভুলন্ঠিত।
শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সরকার দেশে অগণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অপরিপূর্ণ শিক্ষা কাঠামো সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে নতুন যে শিক্ষাক্রম তা একপাক্ষিকভাবে সরকার কতৃর্ক সিদ্ধান্তে গঠন করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে শিক্ষাবিদ, গবেষক , শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরী করেছে। এমনকি শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে অভিভাবকদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
তারা বলেন, বিজ্ঞানহীন, পুর্ব প্রস্তুতি ছাড়া, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের চাহিদা, প্রয়োজন ও মতামতের তোয়াক্কা না করে, একপাক্ষিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিনা প্রশিক্ষণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মহাসমুদ্রে ফেলে দেয়ার মতো এই ধরনের শিক্ষাক্রম চালু করা মানে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধংসের দিকে ঠেলে দেয়া। চাপিয়ে দেয়া এই শিক্ষাক্রম চরম ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থার প্রকাশ পায়। যা মূলত শিক্ষার বানিজ্যিকরণকে উৎসাহিত করবে।
নতুন শিক্ষাক্রম ব্যবস্থার বাতিল করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বান্ধব নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করা হোক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে অভিযোগ করে তারা বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েম করছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে হবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হবে। সেখানে আমরা দেখছি তারা জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ করছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আজকে কথা বলা বা এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখার অপরাধে শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে ন্যায্যতার পক্ষে কথা বলতে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।