ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

নেইমারের জন্য ‘পরাণ’ পুড়ছে মিমের


নিউজ ডেস্ক
৭:০৬ - সোমবার, নভেম্বর ২৮, ২০২২
নেইমারের জন্য ‘পরাণ’ পুড়ছে মিমের

ঢাকাই সিনেমার সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম সবশেষ নজর কেড়েছেন ফুটবলকে কেন্দ্র করেই। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘দামাল’-এ দুর্দান্ত অভিনয় করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই নায়িকা। সিনেমাটির প্রচার-প্রচারণায়ও ফুটবলের সঙ্গে তার ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। মাঠে নেমে ‘হাত দিয়ে গোল’ করতেও দেখা গেছে তাকে।

ফুটবলের ঘোরে থাকা এই নায়িকা কাতারে চলমান বিশ্বকাপ নিয়ে আর সবার চেয়ে একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব ফুটবলের মিমের প্রিয় দল ব্রাজিল। তার প্রিয় খেলোয়াড় দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। আজ (২৮ নভেম্বর) রাত ১০টায় ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামছে ব্রাজিল। তবে ইনজুরির কারণে ম্যাচটি খেলতে পারবেন না নেইমার। আর এ কারণেই পরাণ পুড়ছে ‘পরাণ’ নায়িকার।


 মিম বলেন, ‘গত দুই-তিন বিশ্বকাপ ধরে আমি ব্রাজিলের জন্য গলা ফাটিয়ে যাচ্ছি। ব্রাজিলে আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় নেইমার। মনের অজান্তেই তার খেলার প্রেমে পড়েছি। ইনজুরির কারণে আজকের ম্যাচে নেইমার খেলতে পারবে না। বিষয়টি আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তাকে খুব মিস করব। নেইমার না থাকলেও দলের বাকিরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্রাজিলকে জেতাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

মিম আরও জানান, তার বাবা এবং ছোট বোন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। মা ব্রাজিলের সমর্থক। তবে তিনি এ ক্ষেত্রে মায়ের দিকেই গেছেন। বিয়ের পর তার দল আরও ভারী হয়েছে, স্বামীকেও ব্রাজিল সাপোর্টার স্কোয়াডে পেয়েছেন। ছোট বোন কানাডায় থাকায় অবশ্য বাসায় অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় আছেন মিমের বাবা! খেলা নিয়ে বাসার সবাই অনেক মজা করেন, প্রিয় দলের ম্যাচের দিনে বিশেষ রান্নার আয়োজন করেন বলেও জানালেন এই সুন্দরী তারকা।

বললেন, ‘ব্রাজিলের গত ম্যাচ দেখা উপলক্ষে বাসায় খিচুড়ি, মাংস, ইলিশ মাছসহ আরও মজার কিছু রান্না আইটেম করা হয়েছিল। আজও আমরা প্রস্তুত। বিশ্বকাপের এই সময়টায় তো ঘরে ঘরে অন্যরকম এক উৎসব বসে। পাড়ায় পাড়ায় আনন্দ, হইচই, প্রিয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়া, পতাকা ওড়ানো-মজার মজার সব কাণ্ড। এগুলো আমি বেশ উপভোগ করি।’

মিম আরও যোগ করলেন, ‘ছোট বোন দেশে থাকলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে দুজন দুষ্টু-মিষ্টি ঝগড়া করতাম। একসঙ্গে বসে খেলা দেখতাম। হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠতাম। সেই মুহূর্তগুলো এবার খুব মিস করছি। বিশ্বকাপ ফুটবল আমাদের জীবনে যে নির্মল আনন্দ নিয়ে আসে, কোনো কিছুর সঙ্গে এর তুলনা হয় না।’