বাইকার অ্যাওয়ারন্সে সোসাইটি, বাংলাদেশের(বাচবা) কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজধানীর খিলগা্ঁওয়ের একটি হোটেলে বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১১টায় সংগঠনের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এতে আহ্বায়ক তানভীর আলাদিন, সদস্য সচিব জাওহার ইকবাল খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বাবু ও মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য- এ কে আজাদ, ইমন চৌধুরী, শফিক সাইফুল, আলম শামস্, আরিফুল আমিন রিজভী, হাসনাইন আহমেদ মুন্না, মো. শফিকুল ইসলাম, কাওসার বকুল, ফাহাদ হাসান কাজমী, মনসুর আহম্মেদ, আবদুস সালাম ফরাজী, ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, মেজবাহ মুকুল, নূর আলম দুলাল, এ.এইচ.এম আকতারুজ্জামান, ইফতেখার অনুপম ও এ.কে.এম খায়রুল বাশার বুলবুল।
কমিটি গঠনের আগে তানভীর আলাদিনের সভাপতিত্বে হাবিবুর রহমান বাবু ও মো. সাজ্জাদ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন- বাংলাদেশে বাইক দুর্ঘটনার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক! চার চাকার বাহনের তুলনায় দুই চাকার বাইক প্রায় বহুগুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশে গত বছর (২০২৪ সালে) বাইক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত হয়েছেন। যা প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৭ জনের বেশি। নিহতদের বেশিরভাগের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী। যারা ছিলেন আগামীদিনের ভবিষ্যত। যাদের নিয়ে পরিবারের ছিল বর্ণালি স্বপ্ন। যা ভেঙে চুরমার হয়ে এখন এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের দহন। আমাদের সচেতনতা হয়ে ওঠার মধ্যে দিয়ে বেঁচে যেতে পারে পরিবার, সমাজ ও দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যত তরুণ ও যুবারা।
বাইকার অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি, বাংলাদেশের (বাচবা)-এটি কোনো এনজিও বা কারো অর্থায়নে পরিচালিত সংগঠন না। এটি স্বে্চ্ছাশ্রম দিয়ে বাইকার ও তাদের পরিবারকে সচেতন করার মঞ্চ মাত্র। এখন সংহঠনটির নবজাতক পথচলা শুরু।
বাচবা সদস্যরা জানা- বাইক দুর্ঘটনা অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে : বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর প্রবণতা। ট্রাফিক আইন মেনে না চলা এবং হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার না করা। অনেক বাইকারের সঠিক প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা। অনেক ক্ষেত্রে সড়কের নির্মাণ ত্রুটি, রোড সাইনের অভাব ও সড়কের পাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকাও দুর্ঘটনার কারণ।এর সঙ্গে রয়েছে দুর্বল আইন প্রয়োগ ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা।
বাইকার অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি, বাংলাদেশের (বাচবা) ‘স্বপ্ন দেখে- দেশে প্রত্যেক বাইকারকে সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলা। ‘অতিগতি-অতিক্ষতি এই শ্লোগানে- নিয়ম মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং এমন একটি বাংলাদেশ বানানো— যেখানে আর একটি প্রাণও যেন অযথা বাইক দুর্ঘটনায় ঝরে না পড়ে।’