ঢাকা বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

পাকিস্তানে বাড়ছে এমপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা


নিউজ ডেস্ক
৫:০১ - রবিবার, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
পাকিস্তানে বাড়ছে এমপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা

পাকিস্তানে বেড়েই চলছে ভয়াবহ রোগ এমপক্স। আজ রোববার দেশটির পেশোয়ার শহরে চতুর্থ ব্যক্তির দেহে মিলেছে অন্তত সংক্রামক এই ব্যধি। এরমাধ্যমে সবমিলিয় দেশটিতে এমপক্সে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচে।

শুধুমাত্র পেশোয়ারে চারজন এমপক্সে শনাক্ত হওয়ায় সেখানে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন শহরটি রোগটির অন্যতম মূলকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

আজ রোববার যে ব্যক্তির এমপক্স শনাক্ত হয়েছে তিনি গালফ অঞ্চলের একটি দেশ থেকে এসেছিলেন। ৪৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে গত ২৯ আগস্ট সীমান্ত স্বাস্থ্য সেবার কর্মীরা আলাদা করে রাখেন। এখন শঙ্কা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে আরও মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হতে পারেন।

পাকিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর চারজন আর সবমিলিয়ে পাঁচজনের দেহে এমপক্সের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।”

এমপক্স কী এবং এর লক্ষণ

প্রথমদিকে প্রাণি থেকে মানুষের শরীরে ছড়ালেও বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই ভাইরাস গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় হলেও তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক।

এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠ এবং পেশিতে ব্যথা। এক্ষেত্রে জ্বর হওয়ার পর শরীরে ফুসকুড়ি উঠতে পারে। এসব ফুসকুড়ি মুখ, হাতের তালু, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়াতে পারে।

ফুসকুড়িতে ভীষণ চুলকানি হতে পারে এবং সেইসঙ্গে ব্যথা হতে পারে। ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। যে কারণে দাগ সৃষ্টি হতে পারে।

সংক্রমিত হওয়ার দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি সেরে যেতে পারে। তবে শিশুসহ কারও কারও জন্য এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সংক্রমণ গুরুতর হলে সেক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

এমপক্স কীভাবে ছড়ায়?

আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যেমন যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা কাছাকাছি গিয়ে কথা বলার মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।

ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাসের মাধ্যমে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শ করলে তার মাধ্যমেও এমপক্স ছড়াতে পারে।

বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণি যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণির সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনিও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। ২০২২ সালের বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল।

কঙ্গোর বর্তমান প্রাদুর্ভাবের বড় একটি কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। ছোট শিশুসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এমপক্স পাওয়া গেছে।

সূত্র: জিও টিভি