পরিচয় গোপন করে সেবাগ্রহীতা সেজে সিলেট ও ময়মনসিংহ পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযানে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ৯ ও ১০ জুলাই সিলেট ও ময়মনসিংহ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে পৃথক পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাসপোর্টের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বেশি এবং হয়রানি অভিযোগ বেশি আসে। সে কারণেই পরপর দুই দুই জেলা দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট অভিযান চালিয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবি করার অভিযোগে ১০ জুলাই দুদকের ময়মনসিংহ অফিস একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য গত সাত দিনের জমা করা ২ হাজার ৫১৫টি আবেদন যাচাই করা হয়। অতঃপর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও সেবাগ্রহীতাদের বক্তব্য যাচাই করে বেশকিছু অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। টিম শিগগিরই কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
অন্যদিকে, গত ৯ জুলাই সিলেট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম প্রথমে ছদ্মবেশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সেবাদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরে পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আগত সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়। সেবাপ্রার্থীরা কেন হয়রানির শিকার হয় এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।