চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট হচ্ছে। অভিনেত্রীর স্বামী জানিয়েছেন, একটি ‘এসএমএস’কে কেন্দ্র করেই তাদের সংসার ফাটল ধরে। যেখান থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মাহি। তবে রাকিব চাইছেন সংসারটা টিকিয়ে রাখতে।
রাকিব সরকারের এমন মন্তব্যের পরেই ফেসবুকে স্বামীকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন মাহিয়া মাহি। যেখানে দুজনকে সমুদ্র সৈকতের ধারে বাইকে ঘুরতে দেখা গেছে।
সেই ভিডিও প্রকাশ করে স্বামীর উদ্দেশে মাহি লিখেছেন, ‘আমাদের মাঝে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তোমাকে আমার জীবনে ফেরত চাই না। যদিও এই ভালোবাসা আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তা স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে।’
মাহির সেই ভিডিওর পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের দুজনকে আবারও একসঙ্গে দেখতে চেয়েছেন শুভাকাঙ্খীরা। সেইসঙ্গে মাহিকে পরামর্শ দিয়েছেন- সব ভুলে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রাকিব সরকার বলেন, ‘আমার মোবাইলে আসা আমারই পরিবারেরই একজনের একটি এসএমএসকে কেন্দ্র করে মাহির মন খারাপ হয়। এরপর সে আমার বাসা থেকে তার মায়ের বাসায় চলে যায়।’
মাহি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে তার স্বামী বলেন, ‘মাহিকে বাসায় ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। একটা পর্যায়ে আমি নিজেই মাহির সঙ্গে তার মায়ের বাসায় উঠি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেও বোঝাতে পারিনি। একসময় একটু বুঝেছে, আবার আরেক সময় উল্টে গেছে। এভাবেই আলাদা থাকার দিনগুলো চলে আসছি। যেটি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াচ্ছে।’
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে রাকিব বলেন, ‘মাহির পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, তা এখন ৯৯ ভাগই বিচ্ছেদের পথে। এক ভাগ নিয়েও আমি আশাবাদী। চেষ্টা করে যাচ্ছি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কারণ আমি মাহিকে বিয়ে করি পরিবারের অমতে। বিভিন্ন বাধা থাকা সত্ত্বেও তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহিয়া মাহি। তাদের সংসারে ফারিশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।