বিশ্বের প্রায় সব বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচ ব্যাধির মতো ছড়িয়ে আছে। কাজ দেয়ার নামে অনৈতিক আবদার কিংবা সম্পর্ক স্থাপন যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ঘটনা থেকে যায় আড়ালে। মাঝেমধ্যে হাতেগোনা কিছু অভিনেত্রী মুখ খোলেন।
সেই সাহসীদের তালিকায় যুক্ত হলো ইশা কোপ্পিকারের নাম। বলিউডের এই অভিনেত্রী জানালেন কাস্টিং কাউচ নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা।
ইশা বলেন, “২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এক প্রযোজক আমাকে বলেন, অভিনয় করতে গেলে আমায় নায়কের ‘গুড বুক’-এ থাকতে হবে। আমি তখন বুঝতে পারিনি তিনি ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন। পরে সেই নায়কের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তার সঙ্গে একা দেখা করতে হবে। এই একা দেখা করার বিষয়টি কী- তা খোলাখুলি না বললেও আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন।”
অনৈতিক সেই আবদারে সাড়া দেননি ইশা। তার ভাষ্য, ‘আমি ওই নায়ক ও প্রযোজকের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলাম। সেজন্য আমাকে সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়া হয়।’
ইশা বলেন, ‘এরপরও বিভিন্ন সময় কাস্টিং কাউচের বিষয়টি চোখে পড়েছে। কিন্তু আমি ভুলেও সেই ফাঁদে পা দেইনি। এমনকি আমার কাউকে পছন্দ হলে তবেই আমি তার সঙ্গে কথা বলা ও যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।’
অভিনেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কেউ আমার সঙ্গে চালাকি করলে, আমি তার মধ্যে নেই- সেটি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু অনেককেই দেখেছি, এই বিষয়টি সহজে এড়াতে পারেন না। যেজন্য বিপত্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তাই সবাইকে বলব, বড় তারকার স্বপ্নপূরণ করতে চাইলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে নয়, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যেতে। তাহলেই কাস্টিং কাউচ শব্দটি আর কাউকে শুনতে হবে না।’
উল্লেখ্য, ইশা কোপ্পিকারকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৯ সালে কন্নড় ভাষার ‘কাভাচা’ সিনেমায়। ২০১১ সালের ‘শবরী’ সিনেমার পর আর বলিউডে কাজ করেননি তিনি। তবে সম্প্রতি ‘আয়ালান’ নামের একটি হিন্দি সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী।