ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

ভালোবাসা দিয়েই যুদ্ধ জয়ের উপন্যাস তানভীর আলাদিনের ‘মাথিয়ারার মেয়ে’


নিউজ ডেস্ক
১৪:৫২ - সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৪
ভালোবাসা দিয়েই যুদ্ধ জয়ের উপন্যাস তানভীর আলাদিনের ‘মাথিয়ারার মেয়ে’

আমর একুশে গ্রন্থমেলায় এরই মধ্যে পাঠক প্রিয়তার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক তানভীর আলাদিনের উপন্যাস ‘মাথিয়ারার মেয়ে’। সাহিত্যদেশ থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ফাহাদ হাসান কাজমী। উপন্যাসটির গায়ের দাম-৩৩৫/-টাকা। পাওয়া যাচ্ছে ৩৪০-৩৪১ নম্বর স্টলে ও রকমারি ডটকমে। 

উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন জয়ীতা মঞ্জিলা মিমি’কে। এই লেখক মনে করেন- ভালোবাসা দিয়েই যুদ্ধ জয় সম্ভব। তাইতো তিনি মনোফোবিয়ার মতো এক জটিল যুদ্ধের মাঠে নামিয়েছেন তার ‘মাথিয়ারার মেয়ে’কে। আসুন উপন্যাসিক তানভীর আলাদিনের মুখেই শুনি মাথিয়ারার মেয়ের গল্প…


প্রশ্ন: ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ উপন্যাসটি নিয়ে এরই মধ্যে ভালোই চর্চা হচ্ছে, এটি কী প্রেমের উপন্যাস?

তানভীর আলাদিন: অবশ্যই, প্রেম স্বর্গীয় কিনা জানি না, তবে প্রেম দিয়ে স্বর্গ রচনা করা যায় এটুকু জানি। আমার ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ শতভাগ একটি প্রেমের উপন্যাস। এটি গতানুগতিকতা থেকে অনেকটা ব্যাতিক্রম। এখানে পুতুপুতু-সুড়সুড়ি প্রেম নেই, আছে নেহা আর তুষারের প্রেমের দৃঢ়তা ও একাগ্রতার লড়াই। ‘মাথিয়ারার মেয়ে’ উপন্যাসটি জুড়ে মনোফোবিয়া যুদ্ধ জয়ে ভালোবাসার এক ব্যতিক্রম আখ্যান।


প্রশ্ন: কেউ-কেউ মনে করছেন এটি সিরিয়াস টাইপের উপন্যাস?

তানভীর আলাদিন: সিরিয়াস টাইপ বিষয়টি আমি ঠিক বুঝি না। ‘মনোফোবিয়া’ নিয়ে লেখা বলেই হয়তো সিরিয়াস মনে করা হচ্ছে। অহেতুক ভয় পাওয়া সমস্যার নাম ‘মনোফোবিয়া’। এই সমস্যাটি সমাজে অনেক পুরোনো। ‘মনোফোবিয়া’ সমস্যার কারনে অনেক যোগ্য ও মেধাবী তার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। মনোফোবিয়া দূর করতে হলে প্রথমে চাই ভালোবাসা বুকে নিয়ে যুদ্ধজয়ের প্রত্যয়ী মানসিকতা। সেইসঙ্গে ভাঙতে হয় সোস্যাল ট্যাবু। মনোফোবিয়াকেও জয় করা যায়, যদি সঙ্গী হিসেবে ‘নেহা কাজি’র মতো সাহসী কেউ পাশে থাকে…। আমি এই উপন্যাসে দেখাতে চেয়েছি ভালোবাসা দিয়েও যুদ্ধ জয় সম্ভব।

প্রশ্ন: এই উপন্যাসের মূল ম্যাসেজ কী?

তানভীর আলাদিন: শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের সেই উক্তিটি এখানে আবার বলতে চাই- ‘যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সঙ্গে লড়াই করা কিভাবে শিখবে? যারা পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ে তার সন্তানকে ডোবায় নামতে দেন না, কিভাবে সে সন্তান আটলান্টিক পাড়ি দেবে?’ আসলে আমাদের সমাজে আমরা বিশাল একটা অংশ অহেতুক ভয় পাওয়া মনোফোবিয়ায় আক্রান্ত। এখান থেকে বের হতে হবে। সেই ম্যাসেজটাই এই উপন্যাসের ভিত্তি।


প্রশ্ন: মনোফোবিয়া থেকে বের হওয়া কী সম্ভব?

তানভীর আলাদিন: আপনার কাছের মানুষটাকে এতটুকু নিশ্চয়তা দিন যে আপনি সবসময় তার পাশে আছেন এবং থাকবেন, তার মনে ও মগজে দৃঢ়ভাবে জানান দিন এই বলে- ‘ভয় পেওনা, আমিতো আছি।’ তারপর দেখুন ম্যাজিক।


প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ।

তানভীর আলাদিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।