পাত্র পছন্দ ছিল না পাত্রীর। বাড়িতে জানানোর পরেও পাত্রীর সেই কথা
শুনতে চাননি পরিবারের কোনও সদস্য। তাই শেষমেষ পাত্রী যা কান্ড করে বসলেন
তাতে হতবাক সকলেই। আত্মহত্যা বা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়, বাড়ির ঠিক
করে দেওয়া পাত্রের গলায় ছুরি চালিয়ে দিলেন পুষ্পা!
এমনই অভিযোগ কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের চোডাভরম এলাকার। এরকম ঘটনার কথা শুনে পুলিশ থেকে পরিবার বিস্মিত সকলেই। অভিযুক্ত পাত্রীর নাম পুষ্পা। এই ঘটনায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বীকার করেছে ওই পাত্রী। রামু নাইডু নামে পাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করেছিল পরিবার। অনেক ছেলে দেখার পর রামুকেই পাত্র হিসেবে বেশি নিয়েছিল পুষ্পার পরিবার। কিন্তু, প্রথম থেকে সেই বিয়েতে রাজি ছিলেন না পুষ্পা।
পাত্রকে নিয়ে নিজের অপছন্দের কথা পরিবারকে জানালেও অবশ্য তাতে কোনও কাজ হয়নি। অগত্যা পুষ্পার অসম্মতিতেই সম্বন্ধ পাকা করে ফেলে তার পরিবার। বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক হয়ে যায়। সামনের মাসেই তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাই বিয়ের জন্য কেনাকাটা এবং অন্যান্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
হবু বর এবং দু’পক্ষের পরিবার বিয়ে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা সেরে ফেললেও কোনওভাবে এই বিয়ে থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইছিলেন হবু কনে। তারপরে হবু বরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা করে বসে কনে। এর জন্য পাত্রকে একটি সারপ্রাইজ ডেটের জন্য ডাকে পাত্রী। তারপরে ছুরি বের করে হবু বরের গলায় চালিয়ে দেয় পুষ্পা।
ঘটনায় যুবকের গলায় গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এখনও ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর পরেই পুলিশ পুষ্পাকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরায় পুষ্পা স্বীকার করেছে পাত্র পছন্দ না হওয়ার কারণেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে এমন কাণ্ড ঘটার পর যে ওই পাত্রের পরিবার আর এই বিয়েতে রাজি হবে না সেটাই স্বাভাবিক। সূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস।