ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

ঢাকা থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা বিলম্ব কালনীর, সঙ্গে আছে আরও ৩ ট্রেন


নিউজ ডেস্ক
১৬:৪১ - মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
ঢাকা থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা বিলম্ব কালনীর, সঙ্গে আছে আরও ৩ ট্রেন

ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন আজ বিলম্বে ছাড়ছে। এর মধ্যে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩) সাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় বিলম্ব করেছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া আরও কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় প্ল্যাটফর্ম এলাকায় হাজারো মানুষের জটলা বেঁধেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

স্টেশনে থাকা অন বোর্ড স্ক্রিনে দেখা গেছে, সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখন পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি। তবে ট্রেনটি বর্তমানে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় আছে। এই ট্রেনের বিলম্ব সাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি। দেওয়ানগঞ্জগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস (৫৫) ট্রেন রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো ছাড়েনি। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম নম্বর এক দেওয়া হয়েছে; কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলে সেটিও ছাড়েনি। তবে ট্রেনটিকে বিলম্ব দেখিয়ে রাত ১০টা ১০ মিনিটে শিডিউল দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাটগামী লালমনিরহাট এক্সপ্রেস (৭৫১) ট্রেন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ওই ট্রেনকে এখনও কোন প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়নি। 

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে আসার পথে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন এলাকায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কার নষ্ট হয়ে যায়। এতে ট্রেনের সব ধরনের ইলেকট্রিক ফাংশন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিলেট থেকে একটি পাওয়ার কার এনে নতুন করে ট্রেনের রেক শাংটিং (নষ্ট হয়ে যাওয়া পাওয়ার কারের কোচ সরিয়ে নতুন কোচ বসানো) করে ঢাকার পথে রওনা হয় ট্রেনটি। তাই ঢাকায় আসতে বিলম্ব হয়।

এদিকে বাকি ট্রেনগুলোও বিলম্বে আসায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ট্রেনের যাত্রী মো. মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। ফলে দীর্ঘ সময় স্টেশনেই থেকে যেতে হয়েছে। কারণ ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটা, এখন যদি টিকেট ফেরত দিই তাহলে আর টাকা পাব না। ফলে কষ্ট মেনে এখানে থাকতে হয়েছে।

আরেক যাত্রী সোহেল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকেই টিকিট ফেরত দিয়ে স্টেশন থেকে চলে গেছে। কারণ একটা ট্রেনের জন্য অনির্দিষ্ট সময় বসে থাকা খুব কষ্টকর। আমরা যারা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারিনি তারা থেকে গিয়েছি।

রাত ১০টার দিকে কমলাপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে, তখনও ট্রেনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ট্রেনটি অল্প সময়ে ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ট্রেনের ভেতরে পর্যাপ্ত যাত্রী নেই। বেশিরভাগ কোচ ফাঁকা।

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ট্রেনটি কিছু সময় আগে ঢাকায় এসেছে। ফলে দেরিতে ছাড়ছে। বেশি দেরি হওয়ায় টিকিট ফেরত নেওয়ার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেসব যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়েছেন তাদের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।