ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

তীব্র দাবদাহে যশোরে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা


নিউজ ডেস্ক
৯:২৯ - শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
তীব্র দাবদাহে যশোরে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

তীব্র দাবদাহে যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও সেবিকাদের।  

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ সব বয়সের মানুষ। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গরমজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

সরজমিনে দেখা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৫টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন। প্রতিদিনই ক্রমশ এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেবিকারা। শয্যা সংকটে শিশু রোগীদের নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্বজনরা। হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ৩ বছর বয়সী শিশু ফারিয়ার মা রিমা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাচ্চার হঠাৎ জ্বর, শ্বাসকষ্ট। প্রথমে শিশু হাসপাতালে নিয়েছিলাম, সেখান থেকে এখানে ভর্তি করেছি। এখন আগের থেকে অনেকটা ভালো।

সংক্রমক ওয়ার্ডে এক শিশুর মা সেলিনা পারভীন বলেন, আমার বাচ্চার তিন-চার দিন আগে জ্বর ছিল। ওষুধ খওয়ানোর পর সুস্থ হয়ে গেছিল। হঠাৎ গতকাল সকাল থেকে ৩ থেকে ৪ বার পায়খানা হয়েছে। পরে রাতেই ওকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন স্যালাইন চলছে।

এ ওয়ার্ডে ভর্তি বেজপাড়ার রতন রায় বলেন, আমাদের এলাকায় পানির সমস্যা। দূর থেকে পানি এনে খেতে হয়। পানির সমস্যার কারণে হয়তো আমার ডায়রিয়া হয়েছে। তিন দিন ধরে হাসপাতালে আছি। এখন আগের থেকে ভালো।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতিরিক্ত গরমে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। হাসপাতাল চিকিৎসা সামগ্রীর কোনো সংকট নেই।

তিনি বলেন, এ তীব্র তাপদাহে মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি বেশি বেশি পান করতে হবে। শিশুদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে রোদে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। শিশুদের কোনো রকম অসুস্থতা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।