ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার


নিউজ ডেস্ক
৮:৪২ - মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৪
এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। এরমধ্যে ছাত্র কমেছে ২৮ হাজার ৩১৯ জন এবং ছাত্রী কমেছে ১৯ হাজার ৬৫২ জন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার আগে পরীক্ষা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া নানা সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্র কমেছে ১৮০টি এবং পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৩টি।

সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হবে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হবে।

দেশের বাইরের ৮ কেন্দ্রে মোট ৩৫২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিদেশের ৮টি কেন্দ্র হলো- সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, রিয়াদের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি স্কুল, ত্রিপোলির বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল, কাতারের দোহায় বাংলাদেশ মাসহুর-উল-হক মেমোরিয়াল হাই স্কুল, দুবাইয়ের শেখ খালিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল, বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল, মানামার বাহরাইনে বাংলাদেশ স্কুল ও ওমানের বাংলাদেশ স্কুল।

এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ টানা এক মাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার শুরুর আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যেদিন যে বিষয়ের পরীক্ষা থাকবে, সেদিন সে বিষয়ের সব সেট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্র সচিবকে জানানো হবে, কোন সেটে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার হলে কেন্দ্র সচিব কেবল সাধারণ মানের মোবাইল ফোন (বেসিক ফোন) ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে কেউ (সচিব ছাড়া) তা করতে পারবেন না। এই নির্দেশনা কোনো কেন্দ্রে না মানলে কেন্দ্র বাতিল এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক হলে তাদের এমপিও বাতিল করা হবে।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে এবং ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিকভাবে তথ্যাদি আদান-প্রদান করবে।

প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবারের মতো এবারও বাড়তি সময় রাখাসহ কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।