‘পড়াশুনা জানে না এমন লোক উগ্রবাদে জড়ানোর সংখ্যা শতকরা এক ভাগ। আর জড়িতদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থী ৭৪ ভাগ ও মাদরাসা শিক্ষার শিক্ষার্থী ২৩ ভাগ। জড়িতরা ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী হলেন শতকরা ৬৮ ভাগ।’
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) উগ্রবাদ প্রতিরোধে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের সহায়তায় উগ্রবাদ প্রতিরোধে ‘জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও উগ্রবাদ দমনে স্পষ্ট ধারণা বিষয়ক’ এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় জানানো হয় সারাদেশেই এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যেই বরগুনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব শ্রেণি পেশার মানুষকে একত্রিত করে উগ্রবাদ প্রতিরোধে কাজ করানোর প্রয়াসে তিনদিন ব্যাপী জনসচেতনতামূলক কর্মশালা শুরু হয় মঙ্গলবার। এরই অংশ হিসেবে বুধবার সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে জঙ্গিবাদ মাথা নুইয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ এখনো আছে। উগ্রবাদ দমনে পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াট কাজ করছে। সোয়াটের টিমকে তথ্য দেওয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার কর্মশালার উদ্বোধন করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন। বুধবারের আয়োজনেও তিনি সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন ও কর্মশালার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।