ঢাকা বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১০.৯


নিউজ ডেস্ক
৫:০১ - শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১০.৯

পঞ্চগড়ের জেঁকে বসেছে শীত। গত দিনের থেকে কমেছে তাপমাত্রা। কুয়াশা আর শীতে নাকাল উত্তরের জনপদ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯ টায় জেলায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

এদিকের দিনের তাপমাত্রা অনেক কমে এসেছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।

কদিন ধরে হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।  

চা-শ্রমিক আরশেদ আলী, মমিন ও জাহেরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।

পাথর শ্রমিক কদবানু, জমিলাসহ কয়েকজন জানান, আমরা ফজরের আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কদিন ধরে খুব ঠান্ডা। ভোরে উঠে ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র সব বরফের মতো লাগে। তারপরও কাজ শেষ করে পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে জেলায় বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আগের থেকে তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে এসেছে। এ অঞ্চল হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রাও একটু বেশি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত নেমে আসে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়। দিনেও আগের মতো গরম নেই। বিকেল গড়ালেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে।

এদিকে দিন-রাতে তাপমাত্রা দুই রকম থাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত  হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কদিন ধরেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। আজ জেলায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। সেখানে আজ রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।