ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

সাত কলেজে চালু হবে সিএসই, ইইই, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও ডিপ্লোমা কোর্স


নিউজ ডেস্ক
১৩:৪৮ - রবিবার, আগস্ট ২৮, ২০২২
সাত কলেজে চালু হবে সিএসই, ইইই, তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও ডিপ্লোমা কোর্স

বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের পর অবশেষে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের বলছে, এ পরিকল্পনার অধীনে অধিভুক্ত সাত কলেজের পুরনো ল্যাবরেটরিগুলোর আধুনিকায়ন করা হবে, নতুন নতুন বিভাগ ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হবে, শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং চাকরির বাজারে যেসব কোর্সের চাহিদা কম সেগুলো কমিয়ে আনা হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই এ পরিকল্পনার একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। আগামী মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে, কলেজগুলোতে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য ঢাবির ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাবির অধিভুক্ত কলেজগুলো নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে এবং বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করা কঠিন।   

তিনি আরও বলেন, "এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। কিছু যাচাই-বাছাই ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে বৈঠকের পর সেপ্টেম্বরে এটি চূড়ান্ত করা হবে।"

এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্দেশ্যে কলেজগুলোতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই),তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আআইটি) এবং ডিপ্লোমা কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর পাশাপাশি, চাকরির বাজারে চাহিদা কম এমন কিছু কোর্সের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।

ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়ার জন্য কলেজগুলোর পুরনো ল্যাবরেটরিগুলো সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হবে। এ কাজে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছে ঢাবি। এছাড়াও, শিক্ষকরা যেন কলেজগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেন, সেজন্য তাদেরকে প্রশিক্ষণও দেবে ঢাবি।     

বর্তমানে ঢাবির অধিভুক্ত সাতটি কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫৫, যেখানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এই অনুপাত হওয়া উচিত ১: ১৫। কলেজগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবে ঢাবি।

অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, "অধিভুক্ত কলেজগুলোর প্রতিটি বিভাগে ২০০-৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবং বসার সিটের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসেই যায় না। একই ক্লাসরুমে অনেক শিক্ষার্থী থাকলে তাদের পক্ষে মনোযোগ ধরে রাখাও কঠিন হয়ে ওঠে।"    

তিনি আরও বলেন, "এমন অবস্থায় শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের দিকে ভালোভাবে নজর দিতে পারেন না। তাই মন্ত্রণালয়কে এই কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক দিতে হবে। আর শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছেড়ে দিলেই ভালো হবে। আমরা পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি তৈরি আর মূল্যায়ন করব। একাডেমিক চাহিদা অনুযায়ী আমরা যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারবো।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সাত কলেজের পাঠদান ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, "আমি আশা করছি, নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় আমাদের সাহায্য করবে।"