দেশের হাওর ও নদীকেন্দ্রিক নৌ পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ হাউস বোট মেলা। ২০ ও ২১ জুন, শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার আগারগাঁও পর্যটন ভবন প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ হাউসবোট মালিক সমিতির উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের হাউসবোট ও পানিকেন্দ্রিক পর্যটনের সম্ভাবনা তুলে ধরা।
মেলায় অংশ করে হাউসবোট মালিক, পর্যটন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ট্রাভেল এজেন্সি, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যমকর্মী এবং হাজারো দর্শনার্থী।
মেলায় প্রদর্শিত হয়েছে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন হাউসবোট, যা শুধু ভ্রমণের জন্যই নয়, বসবাসযোগ্য ভাসমান ঘর হিসেবেও পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। পাশাপাশি ছিলো হাউসবোট প্রযুক্তি, ডিজাইন ও আরামদায়ক জলজ জীবনযাপনের প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী রয়েল রয়েল এডভেঞ্চার কর্নধার মহিউদ্দিন মজুমদার আনন্দ বলেন, প্রথমবারের মত বাংলাদেশ হাউজবোট ফেয়ার ২০২৫ আয়োজিত হয়েছেআগারগাঁও পর্যটন ভবনের ৩য় তলায়। যেখানে টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন হাউজ বোটের প্রদর্শনী হয়েছে। রাঙামাটি থেকে একমাত্র আমরা রয়েল এডভেঞ্চার হাউজ বোট এর স্টল দিয়েছি। যেখানে সকল বোট এই অন স্পট বুকিংয়ে ছিলো বিভিন্ন অফার।
মহিউদ্দিন মজুমদার তার হাউজ বোট সম্পর্কে বলেন, রাঙামাটির পর্যটনে এক নতুন দিগন্তের নাম রয়েল এডভেঞ্চার। আগে মানুষজন রাঙামাটি ঘুরতে গেলে ছোট ছোট ট্রলারে ঘুরা ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। সেখানে আমরা তৈরি করেছি বিশালাকার একটি নৌযান। লাক্সারি ভাবে ঘুরতে রাঙামাটিতে সবার প্রথম পছন্দ হবে আমাদের এই হাউজ বোটটি।
৫০০ জন লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আয়তনে বিশালাকার হলেও প্রাইভেসি এবং সার্ভিস মেনটেইন করার জন্য আমরা লোক নিচ্ছি সর্বোচ্চ ৩২ থেকে ৪০ জন (আলোচনা সাপেক্ষে বাড়তে কমতে পারে)। যেখানে আপনি যেকোনো বোটে ঘুরতে হলে ফুল বোট ভাড়া নিতে হয় সেখানে আপনি একটা রুম বুক করেও আমাদের বোটে ঘুরতে পারবেন। যার জন্য আপনার প্রয়োজন মাত্র ২ জন লোক। ২ জন হলেই আপনি প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, আপনি যদি একটা রুম বুক করতে চান অবশ্যই আমাদেরকে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আগে জানাতে হবে (যদিও খালি থাকা সাপেক্ষে ইনস্ট্যান্ট বুকিং ও আমরা নেই)।